পাহাড়ের শান্তি স্থাপনে নেদারল্যান্ড যাওয়ার আগে গুরুংকে কী বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পাহাড়ের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপোধ্যায় কড়া অবস্থান জারি রাখলেও, রবিবার থেকে শান্তি বার্তা শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে।
ফের পাহাড়ে শান্তির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার উদ্দেশ্যে পাহাড়ে শান্তিরক্ষার আর্জি জানিয়ে তাঁর অভিমত, আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করলেই শান্তি ফিরবে পাহাড়ে। তিনদিনের সফরে নেদারল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে সোমবার দমদম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করেই গুরুংয়ের উদ্দেশে বলেন, 'আগুন নিয়ে খেলা বন্ধ করে মিটিং-মিছিল করুন গণতান্ত্রিক পথে। তাহলেই শান্তি ফিরে আসবে পাহাড়ে।'
গোর্খা জনমুক্তির মোর্চার আন্দোলনে গত ৯ জুন থেকে পাহাড় জ্বলছে। বাংলা ভাষা আবশ্যিকের প্রতিবাদে আন্দোলন দিয়ে শুরু, শেষে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে মোর্চার আন্দোলনের জেরে পাহাড়ের পর্যটন শিকেয় উঠেছে। প্রতিদিন নিয়ম করে সরকারি অফিস, গাড়ি ও অন্যান্য সম্পত্তি জ্বলছে। ভয়ে পাহাড় ছাড়ছে পর্যটকরা। এরই মধ্যে শনিবারের আন্দোলন মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। বহু পুলিশ কর্মী ও মোর্চা সমর্থক আহত হয় সংঘর্ষে। এমনকী চার মোর্চা সমর্থকের মৃত্যুও পর্যন্ত ঘটে বলে অভিযোগ।
এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপোধ্যায় কড়া অবস্থান জারি রাখলেও, রবিবার থেকেই শান্তি স্থাপনের আর্জি শোনা যাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে। রবিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে জৈনদের অনুষ্ঠান থেকে পাহাড়ে শান্তি স্থাপনের আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, 'রাজ্যে শান্তি বিরাজমান হোক। হিংসার মধ্যে থেকে কোনও ফায়দা নেই।' এদিন ফের নেদারল্যান্ড রওনা হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে শোনা গেল মোর্চার উদ্দেশ্যে শান্তির বার্তা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আন্দোলনের নামে জ্বালিয়ে দেওয়া, পুড়িয়ে দেওয়ার রাজনীতি চলতে পারে না। জোর করে জাতি হিংসা তৈরি করা হচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদেরও জোর করে পাহাড় ছাড়ার কথা বলা হচ্ছে।' এই ঘটনার নিন্দা করে তিনি মোর্চাকে শান্তিপুর্ণ আন্দোলন করার আহ্বান জানান। তাহলেই শান্তি ফিরবে পাহাড়ে। শুরু করা যাবে আলোচনাও।