এনআরসি নয়, এনবিসি আনছেন খোদ মমতা! মালদহের সভায় ঘটালেন বিস্ফোরণ
বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, বিজেপিকে দেশ ভাঙতে দেব না, বাংলা ভাঙতে দেব না। দেব না এনআরসি করতে, এটাই তৃণমূলের পণ।
বাংলায় এনআরসি করতে দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ কথা, বিজেপিকে দেশ ভাঙতে দেব না, বাংলা ভাঙতে দেব না। দেব না এনআরসি করতে, এটাই তৃণমূলের পণ। তাই এনআরসির পরিবর্তে এনবিসি-দাওয়াইয়ের ব্যবস্থা করতে বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাঁর কথায়, এনআরসি করার আগেই এনবিসি দেওয়া হবে বিজেপিকে।
কী এই এনবিসি?
এনবিসির অর্থ ন্যাশনাল বিদায় সার্টিফিকেট। ভোটে হারিয়ে বিজেপিকে এনবিসি দেওয়ার ডাক দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মালদহে মৌসম বেনজির নুরের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার সভা থেকে বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বিজেপির জন্য এনবিসি দাওয়াই তৈরি আছে বলেই জানালেন মালদহের জনসভা থেকে।
মোদীর ঝুটার সরকার
মমতা বলেন, মোদী সরকার বেরোজগারের সরকার। কৃষক হত্যার সরকার। স্বৈরাচারী সরকার। এই সরকারকে বিদায় করে দিতে হবে। এই ঝুটার সরকার কখনও দেশের জন্য ভালো কাজ করতে পারে না। আজ পর্যন্ত মোদী সরকার কোনও কাজ ভালো কাজ করেনি। ভবিষ্যতেও করবে না।
কেন ঝুটার সরকার
তাঁর কথায়, প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন বলে সরকারে এসেছিলেন। এখন বলছে এমন কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি। কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেন না, আবার অস্বীকার করতেও ছাড়েন না ওঁরা। দেশে কোনও কর্মসংস্থান দিতে পারেনি। কোথায় গেল ১০ কোটি চাকরি?
প্রতিশ্রুতির পরও সর্বহারা
বছরে দু-কোটি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তা তো দিতে পারেননি, উল্টে দু-কোটি চাকরি কেড়ে নিয়েছে মোদী সরকার। নোটবন্দি করে মানুষকে সর্বহারা করে ছেড়েছেন মোদীবাবু। তাই এই ঝুটা সরকারকে আর বিশ্বাস করবেন না। আবার মিথ্যা কথা বলতে শুরু করেছে। আগে ছিল চা-ওয়ালা, এখন চৌকিদার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেস দিনে সিপিএম, রাতে বিজেপি! মৌসমের কংগ্রেস ছাড়ার কারণ স্পষ্ট করলেন মমতা]
ভণ্ড সরকারকে ছুঁড়ে ফেলুন
মমতার আহ্বান, কেন্দ্রের ভণ্ড সরকারকে ছুঁড়ে ফেলুন। দেশের স্বার্থে আপনারা তৃণমূলকে ভোট দিন। একটা ভোটও বিজেপিকে নয়, একটা ভোটও কংগ্রেসকে নয়। বাংলায় কংগ্রেসকে কেন ভোট নয়, তাও স্পষ্ট করেন মমতা। বলেন, বাংলায় কংগ্রেস বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করে চলছে। তাই তৃণমূলকে ভোট দিয়ে অশুভ আঁতাতকে ধ্বংস করুন। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বিজেপির হিন্দু ধর্ম মানি না। আমি রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দের হিন্দু ধর্ম মানি।
[আরও পড়ুন:বাম-তৃণমূল-বিজেপির নির্বাচনী ইস্তেহারের বিভিন্ন বিষয়ের তুলনা একনজরে]