মুকুলের চাল আটকাতে মাস্টারস্ট্রোক মমতার! প্রশান্ত কিশোরদের এখনও শিখতে হবে অনেককিছু
মুকুলের চাল আটকাতে মাস্টারস্ট্রোক মমতার! প্রশান্ত কিশোরদের এখনও শিখতে হবে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ। তিনি কোথাও পা ফেলার আগে দু'বার ভাবেন, তারপরই পা ফেলেন। সেইমতোই প্রশান্ত কিশোরদের কৌশলের তোয়াক্কা না করেই তিনি মস্তবড় এক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তার থেকেও বড় কথা, তিনি মুকুল রায়কে সবথেকে বেশি চেনেন। তিনি কী করতে পারেন, তা জানেন। তাই ভাবনা-চিন্তা করেই তিনি দিয়েছেন মাস্টারস্ট্রোক।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোকে মুকুল ভোঁতা
প্রশান্ত কিশোরের কৌশলে কোনও ভুল নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই যে দুর্নীতিকে আশ্রয় করে চলছেন, তাও সঠিক। কিন্তু ২০২১ যখন সামনে তখন শুদ্ধিকরণ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে বড় ভাঙন দেখা দিতে পারে। তা আগাম বুঝেই মমতা কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা মাস্টারস্ট্রোকেই মুকুলদের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গিয়েছে।
মমতার ঘোষণা ভাবনা-চিন্তার ফসল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভিডিও কনফারেন্সে দলের সমস্ত নেতৃত্ব ও বিধায়ক-সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে বলেন, কে কে এবার নির্বাচনে টিকিট পেতে চান। সবাই প্রায় হাত তোলেন। তারপর নিজেও হাত তুলে বলেন, দেখুন আমিও হাত তুলেছি। সবাই আপনারা টিকিট পাবেন। কিন্তু সেজন্য কাজ করতে হবে, বসে থাকলে চলবে না।
বিজেপিতে পা বাড়ানোর রাস্তা বন্ধ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক এমন সময়ে এই ঘোষণা করেছেন, যখন প্রশান্ত কিশোর দলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বাদ দিয়ে ২০২১ ভোটের পরিকল্পনা কষছেন। দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে এমন কথা ঘোষণা করবেন তা ভাবতেও পারেননি তিনি। মমতার ঘোষণা, সমস্ত বিধায়ক টিকিট পাবেন। তাহলে তো শুদ্ধিকরণের কোনও মানেই রইল না। কিন্তু বিধায়কদের বিজেপিতে পা বাড়ানোর রাস্তা বন্ধ করে দিলেন মমতা।
তৃণমূলকে হারাতে লেলিয়ে দেবে ‘তৃণমূল’কেই!
মুকুলরা তৃণমূলের ভাঙনের দিকে চেয়ে ওঁত পেতে বসেছিল। তৃণমূলে ক্ষোভের সঞ্চার হলেই বিক্ষুব্ধদের নিয়ে বিজেপি শক্তি বাড়িয়ে ফেলবে। একইসঙ্গে তৃণমূলকে হারাতে তারা লেলিয়ে দেবে দলত্যাগী বিধায়কদেরই। ঠিক যেভাবে ২০১৯-এ তৃণমূল নেতা-সাংসদদের কাজে লাগিয়ে বিজেপি জয় হাসিল করে নিয়েছিল।
মমতা পোড়খাওয়া, আগাম বুঝেই সিদ্ধান্ত
মমতার সিদ্ধান্তের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোর-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের কৌশলের বিস্তর ফারাক। তবে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ মনে করছে, পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ হিসেবে মমতা সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। কেননা বিজেপি ওঁত পেতে বসে আছে তৃণমূল ভাঙতে। তাঁদের আটকাতে হলে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত।
মুকুলদের পরিকল্পনা ভেস্তে দিতেই মমতার চাল
তৃণমূল শুদ্ধিকরণ শুরু হয়েছে। দলের নিচুতলার পাশাপাশি শীর্ষ নেতৃত্ব য়ে ধোওয়া তুলসিপাতা নয়, তা সবাই জানেন। জানেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। অনেক বিধায়কের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর দিদিকে বলো কর্মসূচি্তেই দেখা গিয়েছে সেই ছবি। তবে মমতা মনে করেছেন, ঠক বাছতে গাঁ উজাড়র হলে মুকুলদের পরিকল্পনাই খেটে যাবে।। তা চান না মমতা।
তৃণমূলে নয়া সমীকরণে জল্পনা! মমতার সঙ্গে 'দূরত্ব’ বাড়ছে অভিষেকের, পিকে পড়েছেন সঙ্কটে