একুশের আগে বাংলার পাশে মমতা, ‘চোখের আলো’ প্রকল্প চালু করে মাস্টারস্ট্রোক
একুশের আগে বাংলার পাশে মমতা, ‘চোখের আলো’ প্রকল্প চালু করে মাস্টারস্ট্রোক
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ফের একটি প্রকল্প চালুর ঘোষণা করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নের সভাঘরে বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা করেন, আগামীকাল মঙ্গলবার থেকেই চালু করা হচ্ছে 'চোখের আলো' প্রকল্প। প্রবীণ থেকে নবীন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পঞ্চায়েত ও পুরসভায় চালু হবে নয়া এই প্রকল্প।
‘চোখের আলো’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ ছানি অপারেশন
সোমবার এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আগামী ৫ বছরে রাজ্যজুড়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ২০ লক্ষ প্রবীণ-প্রবীণার ছানি অপারেশন করা হবে। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের মধ্যে আট লক্ষের বেশি মানুষকে বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে।
‘চোখের আলো’র সুবিধা পাবেন বাংলার ছাত্রছাত্রীরাও
‘চোখের আলো' নামে এই নয়া প্রকল্পের সুবিধা শুধু বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাই নন, পাবেন বাংলার ছাত্রছাত্রীরাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রতিটি সরকারি স্কুলের গিয়ে পড়ুয়াদের চোখ পরীক্ষা করা হবে। প্রয়োজনে ছাত্রছাত্রীদেরও বিনামূল্যে চশমা দেওয়া হবে। চোখের পরীক্ষা হবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিশুদের চোখের পরীক্ষাও হবে।
১২০০ পঞ্চায়েত ও বেশকিছু পুরসভায় মঙ্গলবার চালু প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মঙ্গলবার থেকে ১২০০ পঞ্চায়েত ও বেশকিছু পুরসভায় এই প্রকল্প চালু হচ্ছে। আগামী দিনে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের এই প্রকল্পে কাজে লাগানো হবে। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের দরবারে গিয়ে এই শিবির করে চক্ষু পরীক্ষা করবেন।
উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন
এদিন চোখের আলো প্রকল্পের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ নিয়ে একটি বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গের মেডিক্যাল ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কলকাতায় প্রথম ট্রমা সেন্টার চালু হয়েছিল, এবার উত্তরবঙ্গেও চালু হল। এর ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে চিকিৎসা পাবে মানুষজন।
লাইন দিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন ঘোষণা করেন, তিনি মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন। আমজনতার মতো লাইন দিয়েই তিনি এই কার্ডটি নেবেন। হরিশ চ্যাটার্জি রোডে জয়হিন্দ ভবনে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড বিতরণের শিবির করা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তিনি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নেবেন। তিনি বলেন, আমি কোনও সরকারি সুবিধা নিই না। তাই এটা নেব। এটা আমার সংগ্রহশালায় থাকবে।
শুভেন্দুর দলত্যাগে তৃণমূলের কী হাল হবে অধিকারী-গড়ে! কোন জেলায় আশার আলো সমীক্ষায়