বিজেপি বিধায়কদেরও তলব মমতার! লোকসভায় ধাক্কা খাওয়ার পর মাস্টারস্ট্রোক
বিজেপির উত্থানের পর বিধায়করা দলত্যাগ করছেন। ভাঙন ধরেছে কংগ্রেস-সিপিএমেও। এই অবস্থায় বিধানসভায় তপশিলি বিধায়কদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপির উত্থানের পরই বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির উত্থানের পর বিধায়করা দলত্যাগ করছেন। ভাঙন ধরেছে কংগ্রেস-সিপিএমেও। এই অবস্থায় বিধানসভায় তপশিলি বিধায়কদের নিয়ে আলোচনায় বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে ডাক পেয়েছেন বাম-কংগ্রেস, এমনকী বিজেপি বিধায়করাও।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই বৈঠকে বিজেপিকেও তলব করা। তবে তারা উপস্থিত থাকবে কি না, সেটাই দেখার। বিধায়কদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে জল্পনার পারদ চড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বাম-কংগ্রেসকে নিয়ে চলতে চাইছেন বিজেপিকে আটকাতে, তা স্পষ্ট। কিন্তু এরই মধ্যে বিজেপি বিধায়কদেরও তলব বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
বহু আকাঙ্খিত এই বৈঠক হবে মঙ্গলবার বিধানসভায়। তপশিলি জাতিভুক্ত বিধায়করা থাকবেন বৈঠকে। রাজ্য বিধানসভায় ৮৪ জন তপশিলি জাতিভুক্ত বিধায়ক রয়েছেন।। এই বৈঠকের ডাক পেয়েছেন সবাই। বাম, বিজেপি ও কংগ্রেসের তপশিলি বিধায়কদের মধ্যে কতজন মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেন, তা নিয়েই জোর চর্চা। রাজনৈতিক মহল মনে করছে বর্তমান পরিস্থিতিতে এটা মুখ্যমন্ত্রীর মাস্টারস্ট্রোক।
সম্প্রতি রাজনৈতিক কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে পরামর্শদাতা নিয়োগ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শেই এই বৈঠক কি না, তা নিয়েও চর্চা চলছে। এই বৈঠক বিরোধীদের সঙ্গে সৌজন্যের পথে ফেরার একটা উপায়, নাকি বাম-কংগ্রেসকে ফের উজ্জ্বীবিত করা, তার উত্তর মিলবে ভবিষ্যতেই।