একুশের আগে সমন্বয় বাড়ানোর দাওয়াই দিলেন মমতা, কোচবিহারের বৈঠকে মাস্টারস্ট্রোক
২০১৯-এর লোকসভা উত্তরবঙ্গ থেকে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। এরজন্য গোষ্ঠীকোন্দলই সর্বাগ্রে দায়ী। বিশেষ করে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল অন্তর্কলহে বিব্রত। নিশীথ প্রামাণিক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন।
২০১৯-এর লোকসভা উত্তরবঙ্গ থেকে একটি আসনও পায়নি তৃণমূল। এরজন্য গোষ্ঠীকোন্দলই সর্বাগ্রে দায়ী। বিশেষ করে কোচবিহার জেলায় তৃণমূল অন্তর্কলহে বিব্রত। নিশীথ প্রামাণিক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির সাংসদ হয়েছেন। একুশের আগে আবার মিহির গোস্বামী যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এমতাবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করলেন কোচবিহারে।
সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো
সোমবার জলপাইগুড়িতে পৌঁছেই তিনি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করে সঙ্ঘবদ্ধ হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। এবার কোচবিহারে সমস্ত গোষ্ঠীর নেতাকে এক জায়গায় এনে সমন্বয় বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এই বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক, পুরপ্রশাসক, জেলা তৃণমূলের সভাপতি-সহ সমস্ত নেতা-নেত্রীরা।
প্রতি সপ্তাহে সমন্বয় বৈঠক, যাঁদের উপস্থিতি একান্ত কাম্য
সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়, প্রাক্তন দুই সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বিনয়কৃষ্ণ বর্মন ছাড়াও ছিলেন রাজবংশী বাষা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান বংশীবদন বর্মন, তৃণমূল নেতা আবদুল জলিল আহমেদ প্রমুখরা। সূত্রের খবর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতি সপ্তাহে একটি করে সমন্বয় বৈঠক করার বার্তা দিয়েছেন। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতেই হবে পার্থপ্রতিম, রবীন্দ্রনাথ ও বিনয়কৃষ্ণকে।
কোনও দলবাজি করা যাবে না, স্পষ্ট হুঁশিয়ারি মমতার
তৃণমূল সুপ্রিমো স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, কোনও দলবাজি করা যাবে না। সবাইকে মিলেমিশে চলতে হবে। মমতা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কারও নামে কোনও অভিযোগ উঠলে কড়া হাতে তা দমন করতে হবে। লোকসভা ভোটে হারতে হয়েছে, এবার বিধানসভায় ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।
ঠান্ডা লড়াই সরিয়ে কঠিন লড়াই জেতার দাওয়াই মমতার
উত্তরবঙ্গে তৃণমূল শক্ত লড়াইয়ের মুখে দাঁড়িয়ে আছে। কোচবিহার জেলায় পার্থপ্রতিম-রবীন্দ্রনাথ ঠান্ডা লড়াই নতুন কিছু নয়। রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে সরিয়ে লোকসভা ভোটের পর সভাপতি করা হয় বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে, তারপর পার্থপ্রতিম রায়কে সভাপতি করা হয়। এই জেলায় বরাবর গোষ্ঠীকোন্দল তৃণমূলকে কঠিন লড়াইয়ের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এবার সেই কঠিন লড়াই জেতার দাওয়াই দিলেন মমতা।