মমতা কি ‘শিক্ষা’ নিলেন কেজরির থেকে! ২০২১-এর লক্ষ্যে বাজেটের চমক নিয়ে চর্চা
মমতা কি ‘শিক্ষা’ নিলেন কেজরির থেকে! ২০২১-এর লক্ষ্যে বাজেটের চমক নিয়ে চর্চা
সামনেই পুরসভা ভোট। আর বছর ঘুরলেই রাজ্য বিধানসভার ভোট। অর্থাৎ এই বাজেটই বর্তমান মেয়াদে মমতার সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার বাজেটকে জনমুখী করে তোলার চেষ্টা করবেন, সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু নির্বাচনমুখী বাজেট করতে গিয়ে মমতা কি কেজরিওয়ালের সিদ্ধান্ত দ্বারা প্রভাবিত হলেন?
মমতার প্রকল্পে কেজরির ছায়া
দিল্লির তখতে বসে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিদ্যুৎ মাশুল কমিয়ে দিয়েছিলেন। এবার ভোটের আগে তিনি ২০০ ইউনিট পর্যন্ত নিঃশুল্ক বিদ্যুৎ পরিষেবা ঘোষণা করেন। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এমন এক প্রকল্প আনলেন যেখানে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ পরিষেবা ফ্রিতে পাবেন রাজ্যবাসী। যাঁরা তিনমাসে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করেন, তাঁদের জন্যই এই পরিষেবা। ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হল এই বাজেটে। ৩৫ লক্ষ পরিবার এর সুবিধা পাবে।
কেজরিওয়াল-মডেল বলে ব্যাখ্যা
মমতার এই সিদ্ধান্তকে কেজরিওয়াল-মডেল বলে ব্যাখ্যা করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। মমতাও তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর কথায়। রাজনৈতিক মহলের একটা অংশ বলেন, মমতা এই বাজেট পেশের পর সাংবাদিক বৈঠকে বলেন অন্য রাজ্যের সঙ্গে বাংলার তুলনা করলে চলবে না। তুলনা করতে গেলে বাংলার জনসংখ্যার দিকটাও ভাবা উচিত।
মমতার কথায় দিল্লি-মহারাষ্ট্র-গুজরাটের কথা
এ প্রসঙ্গে তিনি দিল্লির জনসংখ্যা, মহারাষ্ট্র-গুজরাটের কথাও তোলেন। বলেন, বাংলা অনেক বড় রাজ্য, অনেক বেশি লোকের বাস। অতএব এখানে অন্য রাজ্যের মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া অর্থাৎ বিদ্যুৎ মাশুল মকুব করে দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু দরিদ্রদের জন্য তা মকবু করার চেষ্টা করা হয়েছে। তাই ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত ব্যবহারকারীরা ফ্রিতে পরিষেবা দেওয়ার ঘোষণা।
কেজরিওয়ালের বিদ্যুৎ মাশুল মকুবের পর
কেজরিওয়াল যে বিদ্যুৎ মাশুল মকুব করে দিয়ে অন্য রাজ্যের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, প্রকৃত জনমুখী করে তুলেছেন তাঁর প্রকল্পকে, তার প্রমাণ মমতার সরকারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে হাসির আলো প্রকল্প ঘোষণা। এই প্রকল্পের পিছনে কেজরিওয়ালের প্রভাব রয়েছে।