মোদীর সভায় আহতদের যোগদান তৃণমূলে! মমতার মাস্টারস্ট্রোকে কিস্তিমাত বিজেপি
গেরুয়া শিবির ছেড়ে মোদীর সভায় আহতরা এলেন তৃণমূলের সভায়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করলেন। তারপর স্বাগত জানালেন দলে।
নরেন্দ্র মোদীর সভার আহতরা মেদিনীপুরে পাল্টা সভায় এসে যোগ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। মোদীর সভায় শামিয়ানা-কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাস্টারস্ট্রোকে পিছু হটল বিজেপি। গেরুয়া শিবির ছেড়ে আহতরা এলেন তৃণমূলের সভায়। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁদের উপস্থিতির কথা ঘোষণা করলেন। তারপর স্বাগত জানালেন দলে।
শুধু মোদীর সভায় আহতরাই নন, ঝাড়গ্রাম বিজেপির মণ্ডল সভাপতিরাও এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি মেদিনীপুরের সভায় নিজের বক্তব্য শেষে ঘোষণা করেন বিজেপির আহতরা এদিন তৃণমূলের ছত্রছায়ায় আসতে চেয়ে আবেদন করেছেন। আবেদন করেছেন বিজেপি মণ্ডল সভাপতিরা। তাঁদের সবাইকে স্বাগত জানিয়েছেন পার্থবাবু।
বিজেপির আহতরা এদিন বলেন, তাঁরা আহত হয়ে হাসপাতালে পড়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চলে যাওয়ার পর একজন বিজেপি বিজেপি নেতাকে দেখা যায়নি পাশে দাঁড়াতে। কিন্তু সব কাজ ফেলে ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আহতদের হাতে সাহায্য তুলে দেন।
তারই প্রতিদান দিতে এদিন আহত বিজেপিকর্মীরা উপস্থিত হন মেদিনীপুরে তৃণমূলের পাল্টা সভা মঞ্চে। মুখ্যমন্ত্রীর মানবিকে মুখে মুগ্ধ হয়ে তাঁরা যোগ দেন তৃণমূলে।
[আরও পড়ুন: বাংলা মায়ের সম্মানরক্ষায় আমরাও অস্ত্র ধরতে জানি, বিজেপিকে হুঙ্কার ফিরহাদের]
মুখ্যমন্ত্রী স্বল্প সময়ে তাঁর ত্রাণ তহবিল থেকে চিকিৎসার জন্য আহতদের ১ লক্ষ টাকা, কম আহতদের ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করেন। একদিনের মধ্যে হাসপাতালে গিয়ে তা বণ্টন করে আসেন সরকারি আধিকারিকরা। সাহায্যের চেক পেয়ে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি অনেকে। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি প্রকাশ্যেই আনুগত্য প্রকাশ করে বসেন। হাসপাতালের বেডে শুয়ে সুমিত্রা মাহাতো, শকুন্তলা মাহাতো, কৌশিক মাহাতোরা, সুখদা মাহাতো, সূর্যকান্ত চন্দ্র, উত্তম দাস-রা তখনই নিশ্চিত করে ফেলেছিলেন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি। এদিন তার প্রতিফলন ঘটল।
[আরও পড়ুন:আরও এক শরিকের সঙ্গে বিচ্ছেদের মুখে বিজেপি! 'বিশ্বাসঘাতক' তকমায় বিদ্রোহের সুর]