২০০০ কোটি লগ্নি প্রস্তাবে পাহাড় মাত মমতার, দার্জিলিংয়ের দরজায় দাঁড়িয়ে লক্ষ্মী
দার্জিলিংয়ের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে লক্ষ্মী। তিনি খুশি পাহাড়ে প্রথম শিল্প সম্মেলন থেকেই এই বিপুল পরিমাণ প্রস্তাব আসায়।
পাহাড়ে শিল্প সম্মেলনের উদ্বোধন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন বাংলা মানেই বাণিজ্য। আর বুধবার পাহাড়ে শিল্প সম্ভাবনার বার্তা দিয়ে তিনি ঘোষণা করলেন দু'দিনের শিল্প সম্মেলন থেকে ২০০০ কোটি টাকার লগ্নি প্রস্তাব এসেছে। দার্জিলিংয়ের দরজায় দাঁড়িয়ে রয়েছে লক্ষ্মী। তিনি খুশি পাহাড়ে প্রথম শিল্প সম্মেলন থেকেই এই বিপুল পরিমাণ প্রস্তাব আসায়।
[আরও পড়ুন: মেয়রের ব্যক্তিগত জীবনই খবরের শিরোনামে! বিরোধীদের শোভন-খোঁচায় উত্তাল পুরসভা]
এদিনই শিল্প সম্ভাবনায় পশ্চিমবঙ্গে শীর্ষে রয়েছে বলে কেন্দ্রীয় শিল্প নীতি দফতরের তরফে রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। তারপরই পাহাড়ে শিল্প সম্মেলনে সাড়া মেলায় বাংলা তথা পাহাড়ের উন্নয়নে দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি উত্থাপন করেন, পাহাড়ে সুদিন ফিরতে চলেছে, এখন সমস্ত উত্তেজনা প্রশমিত করতে হবে। সেই কারণে সিকিমকেও কাছে টানার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'দার্জিলিংয়ে বিনিয়োগ আসতে শুরু করেছে। এই সুসময়ে প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে তিক্ততা ভুলে উন্নয়নের পথ আরও প্রসারিত করা দরকার।' সেই লক্ষ্যেই তিনি শুক্রবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবন চামলিয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন। পাহাড়ের উন্নয়নে প্রতিবেশী রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করার প্রস্তাব দেবেন তিনি।
এদিনও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'পাহাড় উন্নয়নের চাবিকাঠি লুকনো রয়েছে পাহাড়বাসীর কাছে। জিটিএ-র প্রস্তাবমতো পাহাড়ে শিল্প সম্মেলন দার্জিলিংয়ে বিনিয়োগের নয়া দিগন্ত খুলে দিয়েছে, কিন্তু এরপর যা করার পাহাড়বাসীকেই করতে হবে। কারণ পাহাড়কে সমৃদ্ধশালী করতে দরকার শান্তি, সেই শান্তি পাহাড়বাসীই দিতে পারেন। আর পাহাড়ের যুব সম্প্রদায়ের দরকার কর্মসংস্থান। তার ব্যবস্থা করবে এই শিল্প সম্ভাবনা।'
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'শিল্পপতিরা পাহাড়ে শিল্প গড়ার আশা নিয়ে এসেছেন। বিপুল অঙ্কের লগ্নি প্রস্তাব দিয়ে গিয়েছেন। শুধু শান্তির বিনিময়েই পাহাড়ে গড়ে উঠতে পারে অনেক নিত্যনতুন শিল্প। এখানে জমি আছে, পরিবেশও আছে, শুধু সদিচ্ছা থাকলেই দার্জিলিংয়ের আমূল পরিবর্তন ঘটানো সম্ভব। তাহলেই প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি করা যেতে পারে পাহাড়ে।'