মমতার ভরসার নাম শুভেন্দু! ২০২১-এর আগে তৃণমূলের হাল ফেরাতে নয়া উদ্যোগ
মমতার ভরসার নাম শুভেন্দু! ২০২১-এর নির্বাচনের আগে ‘পূর্ণ’ দায়িত্ব তৃণমূলের হাল ফেরাতে
২০২১ নির্বাচনে জিততে ঘটা করে ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকে দলের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি তাঁর মতো করে পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু এত সবের পরও শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ ভাবনা রয়েছে, তার প্রমাণ দিলেন তিনি। এবার তৃণমূলে এককভাবে দায়িত্ব পেতে চলেছেন শুভেন্দু।
মমতা নিতে চলেছেন একটা বড় পদক্ষেপ
প্রশান্ত কিশোর আসার পরও শুভেন্দু এককভাবেই চলছিলেন। তিনি নিজে যেটা ভাবছিলেন, সেটাই করছিলেন দল পরিচালনায়। কখনই তিনি অন্য কারও বুদ্ধি নিয়ে দলের সংগঠন সাজাননি। তবে অন্যের নাক গলানোয় সম্প্রতি তিনি সাংগঠনিক কাজ এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তার নিবৃত্তি ঘটাতেই মমতা নিতে চলেছেন একটা বড় পদক্ষেপ।
একুশের আগে শুভেন্দুর কাঁধে গুরুদায়িত্ব
মমতা চাইছেন, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়ার জমি ফেরাতে শুভেন্দু অধিকারীকে ময়দানে নামাতে। তাই এবার কোনও রাখঢাক না করে দলের তরফে সুব্রত বক্সি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, শুভেন্দু তাঁর মতো করেই দল পরিচালনা করবেন, কেউ তাঁর কাছে বাধা সৃষ্টি করবেন না, এককভাবে তাঁর কাঁধেই উঠবে থাকবে চার জেলার সংগঠনের ভার।
চার জেলার ছয় আসন যখন বিজেপির দখলে
বর্তমানে চারটি জেলার ছটি আসনই বিজেপির দখলে। তৃণমূল একটি আসনও ধরে রাখতে পারেনি। এমনকী ২০১৯-এর ভোটে বাঁকুড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্বে থাকার পরও ভরাডুবি হয় তৃণমূলের। এরপর তাঁর জায়গায় আনা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। শুভেন্দুর পাশাপাশি দায়িত্ব দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেককে।
মমতার নির্দেশ, কাঁধে গুরুদায়িত্ব শুভেন্দুর
কিন্তু
তা
ভালোভাবে
নেননি
শুভেন্দু।
বিশেষ
করে
তাঁর
কাজে
হস্তক্ষেপ
হওয়ায়
তিনি
সাংগঠনিক
কাজে
এখন
বেশি
নজর
দিচ্ছিলেন
না।
এহেন
পরিস্থিতিতে
শুভেন্দুর
সঙ্গে
আলাদাভাবে
বসেন
দলের
রাজ্য
সভাপতি
সুব্রত
বক্সি।
তাঁকে
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
তথা
দলের
ভাবনার
কথা
বলেন
সুব্রত
বক্সি।
শুভেন্দু
তারপর
রাজিও
হন
দলের
দায়িত্ব
কাঁধে
তুলে
নিতে।
২০২১-এর
ভোটের
আর
বেশি
দেরি
নেই।
এই
অবস্থায়
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
তাঁর
দলের
তরুণ
তুর্কি
নেতা
শুভেন্দুকেই
বেছে
নিয়েছেন
জঙ্গলমহলের
জেলাগুলিতে
দলের
হাল
ফেরাতে।
দুই
মেদিনীপুর,
ঝাড়গ্রাম
ও
বাঁকুড়ার
দায়িত্ব
শুভেন্দুর
কাঁধে
দিয়ে
তিনি
আশায়
থাকছেন।
শুভেন্দু
দৃঢ়তার
সঙ্গে
মুখ্যমন্ত্রীর
ভরসার
মর্যাদা
দেবেন
বলে
তাঁর
বিশ্বাস।
'অসত্যাগ্রহী' মোদী, মধ্যপ্রদেশের রেওয়া সৌরশক্তি প্রকল্প নিয়ে খোঁচা রাহুলের