মমতা পারেননি, অভিষেকের কাঁধে উঠল গুরুদায়িত্ব! একুশের জয়ে টার্গেট ফিক্সড তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেস একুশের নির্বাচনে জিতে হ্যাটট্রিকের সরকার গঠন করেছে। টানা তিনবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কুর্সি দখলের পর ফের একবার জাতীয়স্তরে নিজের গুরুত্ব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস একুশের নির্বাচনে জিতে হ্যাটট্রিকের সরকার গঠন করেছে। টানা তিনবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কুর্সি দখলের পর ফের একবার জাতীয়স্তরে নিজের গুরুত্ব ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছেন। এবার তাঁর তৃণমূলকে তিনি ছড়িয়ে দিতে চাইছেন রাজ্যে রাজ্যে। আর সেই গুরুদায়িত্ব তিনি অর্পণ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেবেন অভিষেক
অভিষেক তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন। তারপর টুইট করে তিনি জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে দেব। এবার তৃণমূলকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে দিতে হবে তৃণমূলকে। তাঁর এই বার্তা থেকেই স্পষ্ট, তৃণমূলকে বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে সারা দেশে বিস্তৃত করার লক্ষ্য নিয়েই নামছেন অভিষেক।
অভিষেক সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক, মমতা দিলেন গুরুদায়িত্ব
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ভোট চলাকতালীনও খোলাখুলি জানিয়েছিলেন তিনি কী চান। তিনি সোজাসাপ্টা জানিয়েছিলেন বাংলরা কুর্সি তিনি চান না। তিনি চান তৃণমূল কংগ্রেসকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে। আর তা যে শুধু কথার কথা নয়, তা এদিন বুঝিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে মমতা গুরুদায়িত্ব দিলেন।
বাংলা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যে তৃণমূলকে বিস্তার করতে
২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছিলেন বাংলা ছাড়াও অন্যান্য রাজ্যে তাঁর দলকে বিস্তার করার। আংশিক সফলও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাঝপথে ভেঙে পড়েছিল তাঁর উত্তরমের রথ। ত্রিপুরা, অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যে এমনকী উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাবের মতো প্রদেশেও তিনি দলের সংগঠন খুলেছিলেন। কিন্তু তা বেশি দূর প্রসারিত হয়নি।
তৃণমূলের সংগঠনকে ফের জাগিয়ে তোলার লক্ষ্য়ে অভিষেক
বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরায় তৎকালীন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের নেতৃত্বে অনেক দূর এগিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু মুকুলের বিজেপিতে যোগের পর তা তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। পুরো তৃণমূল সংগঠন বিজেপিতে যাওয়ার পরই ত্রিপুরায় বামেদের হটিয়ে সরকার গড়ার রসদ পায় গেরুয়া শিবির। এখন অন্যান্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও তৃণমূলের সংগঠন মাটিতে মিশে গিয়েছে প্রায়।
মমতা যা পারেননি, অভিষেক তা করে দেখাতে পারবেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেককে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে তুলে ধরে বুঝিয়ে দিলেন, এবার তৃণমূলের বিস্তারের সময় এসেছে। দলের তরুণ-তুর্কি নেতা অভিষেককে ট্রাম্পকার্ড করেই তিনি দলের সর্বভারতীয় গুরুত্ব ফিরে পেতে চাইছেন। এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া দায়িত্ব অভিষেক কতটা কার্যকর করে তুলতে পারেন। মমতা যা পারেননি, তিনি তা করে দেখাতে পারেন কি না?