সারাবছর ঘুম আর কাজ শুধু সাতদিন! ডিএম-এসপিকে কড়া নিদান মমতার
জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও, জেলা পরিষদ থেকে পঞ্চায়েত- সমস্ত আধিকারিকদের সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
যখন জেলায় মিটিং করতে আসি, তার সাতদিন আগে থেকে কাজ শুরু করেন আপনারা। এসব চলবে না। সারা বছর ধরে কাজের ধারাবাহিকতা দেখাতে হবে। কাজটা যদি নিয়মিত ধারাবাহিকতা মেনে করা হত, তাহলে জেলার এই শোচনীয় অবস্থা হত না। কেন পিছিয়ে পড়ছে ঝাড়গ্রাম? প্রশাসনিক বৈঠকে চাঁছাছোলা ভাষায় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জেলাশাসক থেকে শুরু করে বিডিও, জেলা পরিষদ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত- সমস্ত আধিকারিকদের সমালোচনায় বিদ্ধ করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই জেলায় ফের বৈঠকে আসতে হল, উন্নয়নমূলক কাজ হচ্ছে না বলেই। কেন এত বাজে পারফরম্যান্স? এইটুকু তো জেলা। কেন সঠিক প্ল্যানিং হচ্ছে না? প্ল্যানিং ও ডিস্ট্রিবিউশন ঠিক মতো হচ্ছে না বলেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। কোথায় সমস্যা আমাকে জানান।
তিনি এদিন বিডিওদের জিজ্ঞাসা করেন, তাঁরা মিড ডে মিল সেন্টারগুলিতে ধারাবাহিকভাবে পরিদর্শন করেন কি না? কেন তা নিয়মিত পরিদর্শন করা হয় না, জানতে চান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ছোট্ট এইটুকু জেলায় প্রতি মাসে ভিজিট করতে হবে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনারা পাবলিক মিট করেন?
নিয়মিত পাবলিক মিট করেন যদি, রামকৃষ্ণ মিশনের সমস্যা মেটাতে এত টাইম লাগল কেন? পাল্টা প্রশ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এরপরই মমতার সমালোচনা, 'যেখানে ডিএম-এসপিরা সমস্যা সমাধান করতে পারেন না, সেখানে অযথা সময় নষ্ট হয়। সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে। ঝাড়গ্রামে কেন এসব হচ্ছে?'
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, বিডিওদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করেতে হবে জেলাশাসককে। তিনি বলেন, 'জেলাশাসকদের আরও দায়িত্বশীল হতে হবে। পুলিশ সুপারকেও দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে। মনে রাখবেন জেলায় ডিএম-এসপিরা সরকারের মুখ। তাঁদের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়া মানে সরকারের বদনাম।' সেইসঙ্গে বিডিওদের নির্দেশ দেন, কাজ কম হলে বিডিওদের দায়িত্ব নিতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'এই জেলা পিছিয়ে পড়ছে বলেই ফের আসতে হল। খড়গপুরে কয়েকদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলার প্রশাসনিক বৈঠক হয়। ফের আসার কারণ ধারাবাহিকতার অভাব। এই সমস্যা কাটাতে ধারাবাহিক হতে হবে। ধারাবাহিকরতা দেখাতে হবে সারা বছর।'