হিংসার মধ্যে থেকে কোনও ফায়দা নেই, শান্তির বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
শনিবার কলকা্তার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন বন্দুক দেখিয়ে চমকালে, তিনি বন্দুক টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আর তার ঠিক একদিন পরেই মমতার মুখে অহিংসার বাণী।
পাহাড়ে হিংসার মধ্যেই অহিংসার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কলকা্তার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন বন্দুক দেখিয়ে চমকালে, তিনি বন্দুক টেনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন। আর তার ঠিক একদিন পরেই মমতার মুখে অহিংসার বাণী। রবিবার জৈনদের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'রাজ্যে শান্তি বিরাজমান হোক। হিংসার মধ্যে থেকে কোনও ফায়দা নেই।'
এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মোর্চাকে শা্ন্তির পথে ফেরার বার্তা দিলেন। তার পাশাপাশি প্রশাসনকে দিলেন মাথা খাটিয়ে কাজ করার পরামর্শ। তিনি বলেন, 'কাজ করলে ভুল হবে। কিন্তু সেই ভুল চূড়ান্ত বলে ধরে নিলে হবে না। ভুল থেকেই শিক্ষা নিতে হবে।' তবে কী ভুল, তা তিনি ব্যাখ্যা করেননি এদিন।
সপ্তাহকাল ধরে পাহাড় অশান্ত। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অনির্দিষ্টকালীন ধর্মঘটে জেরে দফায় দফায় হিংসা ছড়াচ্ছে। শনিবার পাহাড় পরিস্থি্তি সবথেকে ঘোরালো হয়ে ওঠে। মমতা জমানায় পাহাড় অশান্ত হওয়ার পর এই প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মোর্চার চার সমর্থকের মৃত্যুর পাশাপাশি এসি এসআরবি কমান্ডান্টও গুরুতর আহত হন। জখম হন ৩৬ জন পুলিশকর্মী ও ৫ জন মোর্চা সমর্থকও।
মোর্চার তরফ থেকে পুলিশের গুলিতে তাদের সমর্থকদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন দ্ব্যর্থহীনভাষায় জানিয়ে দেন, পুলিশ গুলি চালায়নি। এডিজি আইনশৃঙ্খলা পাল্টা জানিয়ে দেন মোর্চার গুলিতেই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, পাহাড়ে হামলার ঘটনা একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। এর পিছনে জঙ্গি-যোগ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।
এই হিংসার মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন স্পষ্ট করে দেন, কোনওমতেই বাংলাকে ভাগ হতে দেব না। পাহাড়ে নোংরা খেলা চালিয়ে যাচ্ছে যাঁরা, তাঁদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনও মূল্যে পাহাড়ে শান্তি ফেরাবেনই তিনি। পাহাড়বাসীর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা তিনি মানবেন না।