২০২১-এ জয়ের ফর্মুলা এখন মমতার হাতে! প্রচারের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল
রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২০২১ জয়ের ফর্মুলা পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই লক্ষ্যেই প্রচারে ঝড় তুলতে তৃণমূল কংগ্রেস উদ্যোগী হল।
রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে বিপুল জয়ের পর ২০২১ জয়ের ফর্মুলা পেয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেই লক্ষ্যেই প্রচারে ঝড় তুলতে তৃণমূল কংগ্রেস উদ্যোগী হল। তৃণমূল এবার এনআরসি বিরুদ্ধে প্রচার জোরদার করছে। উল্লেখ্য, এনআরসি-ভীতিকে কাজে লাগিয়েই উপনির্বাচনে বিজেপিকে পর্যুদস্ত করে ছেড়েছে তৃণমূল।
এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূল
শিলিগুড়ির রাজ্য পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব এক জনসভায় বলেন, এনআরসি ইস্যুতে তাঁরা স্থানীয় নাগরিকদের পাশে থাকবে। রাজ্যে বিজেপির এই এনআরসি-অপচেষ্টাকে আটকানোই তৃণমূলের মূল লক্ষ্য। রাস্তায় নেমে এনআরসি ও নাগরিকত্ব বিলের প্রতিবাদ করা হবে।
অক্সিজেন পেল তৃণমূল
উল্লেখ্য, উপনির্বাচনে তিনে তিন করার পর অক্সিজেন পেয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। এগিয়ে থেকেও গোহারা হয়ে বিজেপি ব্যাকফুটে চলে যায় একেবারে। বিগত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তিনটির মধ্যে দুটি আসনে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিল।
এনআরসি-ভীতির ফলেই
আর কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর কেন্দ্রদুটি বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত। এই এলাকায় এনআরসি ছিল বড় ইস্যু। বিজেপি এনআরসির পক্ষে আর তৃণমূল এনআরসির বিরুদ্ধে প্রচার চালায়। সেখানে এনআরসি-ভীতির ফলেই বিজেপির ভোট ঘুরে যায় তৃণমূলের দিকে। তাই এবার এনআরসি নিয়ে কোমর বেঁধে নামছে তৃণমূল।
এনআরসিই বড় হাতিয়ার
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জন্য এই এনআরসিই বড় হাতিয়ার হতে চলেছে তৃণমূলের। এই ইস্যুতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে বলে জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃ্ত্ব। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ জানিয়েছেন, এ রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না। অসমে ৩১ আগস্ট প্রকাশিত এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা থেকে ১৯ লক্ষ নাম বাদ যাওয়ার পর থেকেই মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
অনুব্রত-গড়ে জেলা পরিষদ সভাধিপতিকে 'ছুটি’তে পাঠানো হল, কড়া হচ্ছে তৃণমূল