পুরুলিয়ার সভায় কেন 'মন খারাপ' হল দিদির! জননেত্রীর কোন রূপ দেখলেন সমর্থকরা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতে এদিনও কিছু মানুষ এসে নিজেদের দাবি দাওয়া পেশ করতে থাকেন। আর বনগাঁর সভার মতো সেই দাবি দাওয়া ঘিরে এদিনও তাল কাটে সভায়। বেশ ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিদি। কিন্তু তারপরই জননেত্রী যেন এক্কেবারে ঘরের মেয়েটি! পুরুলিয়ার সভা থেকে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকদের প্রতি কোন বার্তা দিলেন দিদি।

তাল কাটল পুরুলিয়ার সভায়!
চুক্তিভিত্তিকভাবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকরা কাজ করে থাকেন। আর কাজের ভিত্তিতে তাঁদের বেতন হয়। তবে মাসিক স্থির আয় বলে তাঁদের কিছু নেই। তাই মাসিক বেতনের দাবি জানিয়ে পুরুলিয়ার হুট মোড়ে মমতার জনসভার মাঝেই বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কয়েকজন। আর সভার মাঝে এমন দৃশ্যে মুহূর্তে রাগের পারদ চড়ে মমতার।

ক্ষুব্ধ হন মমতা!
এদিকে, মঞ্চে ততক্ষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অগ্নিগর্ভ বক্তৃতা দিচ্ছেন। তোপ দাগছেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। তখনই দর্শকাসনে এমন ঘটনায় মেজাজ হারান মমতা। বলেন, বিজেপি পরিকল্পনা মাফিক তাঁর সভায় লোক পাঠিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। এরপরই মমতার অন্য রূপ দেখে জনসভা।

'মন খারাপ হয়ে গেল'
এদিকে, তারপরও মমতা বক্তব্য রাখতে থাকেন। কিন্তু বক্তব্যের মাঝেই মাইকে স্বরূপকে মমতা নির্দেশ দেন বিক্ষোভরতদের অভিযোগ বা কোনও চিঠি থাকলে যেন তা তাঁর কাছে নিয়ে আসেন। আর সেই সূত্র ধরেই মমতা বিক্ষোভরতদের প্রতি বলেন, 'এই তোমাদের একটু বকেছি। আমার নিজেরই মনটা খারাপ হয়ে গেল। কিছু মনে করো না।'

জননেত্রী এরপর কোন নির্দেশ দেন?
এরপরই জননেত্রী বলেন, 'আমি একজনকে পাঠাচ্ছি। তোমাদের কাগজটা একটু দিয়ে দাও তো।' একচু পরেই স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশিক্ষকদের পাঠানো চিঠি মমতার হাতে এসে পৌঁছয় সভা মঞ্চে। তারপরই মমতা তাঁদের অসন্তোষ রোখার আশ্বাস দেন। মমতা বলেন, 'আমি দেখে করব। আমি যদি পারি করব। না পারলে পরে করব। '

আমি আপনাদের পরিবারের মতো!
মমতা বলেন, আমি আপনাদের পরিবারেরই একজন। এরপরই চিঠি হাতে আসে মমতার। মঞ্চে চিঠি পড়েই দিদির বার্তা,'মাস মাইনে .. এটা তো হবে না। আপনারা দেড় হাজার পেতেন, তিন হাজার করা হয়েছে। তবে ৬০ বছরের বিষয়টি ও অবসরের পরে যাতে বেনিফিট পান তা দেখে দেব।'