উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দিল্লি যাওয়ার ‘ডাক’ পেলেন মমতা, রণাঙ্গন যখন ভবানীপুর
উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দিল্লি যাওয়ার ‘ডাক’ পেলেন মমতা, রণাঙ্গন যখন ভবানীপুর
ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ৩০ সেপ্টেম্বর। এবার ত্রিমুখী লড়াইয়ে জমজমাট প্রচার শুরু হয়ে গিয়েছিল। করোনার আবহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন জনসংযোগে। বুধবার জনসংযোগের জন্য তাঁর গন্তব্য ছিল হরিশ মুখার্জি স্ট্রিটের গুরুদ্বার। সেখানে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি যাওয়ার ডাক পেলেন।
ভবানীপুরে নির্বাচন ঘোষণার পর চেতলায় কর্মিসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দিয়েছিলেন এবার প্রচার হবে ছোট আকারে। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছতে হবে। আমি সব জায়গায় যেতে পারব না। কিছু কিছু জায়াগায় যাব। কথে বলে আসব। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রচারের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন। সেইমতো দ্বিমুখী প্রচার পর্ব শুরু হয়।
এরই মধ্যে সময় করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ষোলো আনা মসজিদে গিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন দুর্গাপুজোর ক্লাবগুলিতে। সেখানে গিয়ে তিনি জনসংযোগ সেরে এসেছেন তাঁর কাজের ফাঁকে। আর বুধবার তিনি হেলেন ভবানীপুরের গুরুদ্বারে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হয়ে গুরুদ্বারে গিয়ে তিনি কতা সবলেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে মাইক্রোফোন হাতে বলেন, গুরুদ্বারে এলে শান্তি পাই। কী শান্ত পরিবেশ। তখনই তাঁকে শুনতে হয়- দিদি আপনাকে দিল্লি যেতে হবে। এদিন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই বার্তা শুনে কোনও মন্তব্য করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃদু হেসে দিয়েছেন। তারপরও দিল্লির ডাকে মুখরিত থেকেছে ভবানীপুরের গুরুদ্বার।
এদিন শিখ সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি জাতীয় সঙ্গীতের লাইন উদ্ধৃত করে বলেন, পঞ্জাব ছাড়া বাংলা সম্ভব নয়। আবার ভারতও সম্ভব নয়। দেশের বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের কথায় তিনি বাংলার সঙ্গে পঞ্জাবের উদাহরণও তুলে ধরেন। স্বাধীনতা সংগ্রামে পঞ্জাবের অবদানের কতাও স্মরণ করেন বাংলার পাশাপাশি।
তিনি বলেন, বাংলা সবাইকে বেঁধে রাখতে জানে। সেই বন্ধনের সংস্কৃতির ধারা আজও বহমান বাংলায়। তা যাতে অটুট থাকে, সেই চেষ্টাই করতে হবে। ভবানীপুরে একটা বড় অংশ শিখ ভোটার রয়েছে। তাঁদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে কাছে টেনে নেন। মনোনয়নের দিন দেখা যায়, অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের স্বামী নিশপাল রানেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলিপুর সার্ভে বিল্ডিংয়ে। তিনিই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাবক ছিলেন।
গুরুদ্বারে জনসংযোগে শিখ মহিলাদের উচ্ছ্বাস এদিন ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন তাঁরা বাংলায় স্লোগান দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে। মমতা দু-চার লাইন পঞ্জাবিও বলেন। মোট কথা প্রচারের এই নতুন ধারায় উভয়েই ছিলেন স্বমহিমায়। এভাবেই ক্ষেত্র ধরে ধরে মমতা প্রচারকে শিখরে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন।