আরএসএসের ধাঁচে ‘জয় হিন্দ’ বাহিনী মমতার, গড়লেন ‘বঙ্গজননী বাহিনী’ও, মাথায় কারা
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে ২০২১-এর আগে হারানো মাটি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে ধরনা মঞ্চে ঘোষিত জয় হিন্দ বাহিনী ও বঙ্গজননী বাহিনীও গড়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেয়ে ২০২১-এর আগে হারানো মাটি পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল। বৃহস্পতিবার নৈহাটিতে ধরনা মঞ্চে ঘোষিত জয় হিন্দ বাহিনী ও বঙ্গজননী বাহিনীও গড়ে ফেললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি বার্তা দিলেন, কেউ ঘাবড়াবেন না, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা ছিলাম, আছি, থাকব।
তিনি এদিন কোর কমিটির বৈঠকে স্পষ্ট করে দেন, দেল কোনও ঝগড়াঝাটি চলবে না। সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে। সেই লক্ষ্যেই তিনি বঙ্গজননী বাহিনীর দায়িত্ব দেন কাকলি ঘোষদস্তিদার। আর 'জয় হিন্দ' বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয় ব্রাত্য বসুকে। এই জয় হিন্দ বাহিনীর চেয়ারম্যান হন ব্রাত্য বসু। ভাইস চেয়ারম্যান হন ইন্দ্রনীল সেন। আর সভাপতি করা হয় কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
একইসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দেয়, সমস্ত বিধায়কদের এলাকায় থাকতে হবে। জনসংযোগ গড়ে তুলতে হবে। অন্য জনপ্রতিনিধিদেরও মানুষের সঙ্গে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখতে হবে। এখন থেকে রস্টার মেনে তৃণমূল ভবনে বসতে হবে নেতা-মন্ত্রীদের। আর জোর দিতে হবে কর্মিসভায়।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জেলায় জেলায় কর্মিসভা করবেন তিনি। ৭ জুন থেকেই তিনি কর্মিসভা করবেন। হুগলি দিয়ে শুরু হবে এই কর্মসূচি। এদিন আরএসএসের ধাঁচে দুটি বাহিনী গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্মুখ সমরে নামছেন। একই সঙ্গে তিনি হাজি নুরুলকে সরিয়ে সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব দিয়েছেন সিদ্দিকুল্লাকে। তফসিলি জাতি-উপজাতি সেলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে উমা সোরেনকে।