লোকসভায় কেন হার তৃণমূলের! এতদিনে প্রকৃত কারণ খুঁজে পেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে একটি আসনও জোটেনি তাঁদের। আটটির মধ্যে সাতটি পেয়েছিল বিজেপি, একটি কংগ্রেস।
২০১৯-এর লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গে বিজেপির কাছে পর্যুদস্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তরবঙ্গে একটি আসনও জোটেনি তাঁদের। আটটির মধ্যে সাতটি পেয়েছিল বিজেপি, একটি কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারণ জানিয়ে দিলেন কেন পরাজয়ের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে।
... তাহলে হারতে হত না
কোচবিহারে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন নিশীথ অধিকারী। হার মানতে হয়েছিল তৃণমূল প্রার্থীকে। সোমবার কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আফশোস, আজ যে ছবিটা দেখছি, এটা যদি লোকসভা ভোটের আগে থাকত, তাহলে হারতে হত না তৃণমূলকে।
দুষ্টুমি করতে মানা মমতার
মমতা আক্ষেপের সুরে বলেন, এখন যে কাজটা করছেন, সেটা ছ-মাস আগে করলে বিজেপি কোনওদিন জিততে পারত না। তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়েই পুরপ্রধানের নাম করে দুষ্টুমি করতে মানা করেন। তিনি বলেন, তোমাকে পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তা ভালোভাবে পালন কর। রবি বা অন্যদের কাজে নাক গলাবে না।
গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই হার মানতে হয়েছে
মমতা এদিন বুঝিয়ে দেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্যই হার মানতে হয়েছে বিজেপির কাছে। কোনওভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূলে একটাই গোষ্ঠী রয়েছে। একটাই নেতা আছে, তা হল জোড়াফুল। এর বাইরো কেনও গোষ্ঠী নেই। তাই ঝগড়া করবে না। তোমরা ভাষণ দেবে, আর পার্টি বিষ গিলবে, তা মানা হবে না।
নেতারা বড় নয়, বড় কর্মীরা
মমতা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসে নেতারা বড় নয়, বড় কর্মীরা। কর্মীরাই হলেন দলের সম্পদ। এই আমি, আমার মতো যাঁরা মঞ্চে বসে আসে এরা কেউ নেতা নন। আমরা সবাই দলের সৈনিক। আমরা সবাই সমান। তৃণমূল কংগ্রেসের একটা আদর্শ আছে, বাকিদের তাও নেই। কোচবিহারে গুন্ডামির কাছে আমরা হেরেছি। রাতের অন্ধকারে টাকা বিলনো হয়েছে।
টাকা নেই, মানসিকতা আছে!
মমতা বলেন, আমাদের টাকা নেই, আমাদের কাজ করার মানসিকতা আছে। আমরা যে কাজ করছি, তা মানুষকে জানাতে হবে। বিজেপির কাজে প্রচুর টাকা আছে। ওরা ব্যাঙ্ক থেকেও টাকা নিচ্ছে। আগামী দিনে মানুষ টাকা পাবে কি না তা নিয়েই প্রশ্ন। দেশের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ।