বুলু, আয় একবার দেখা করে যা! ভোট-প্রচার থামিয়ে পুরনো বন্ধুর খোঁজ মমতার
বুলু, আয় একবার দেখা করে যা! ভোট-প্রচার থামিয়ে পুরনো বন্ধুর খোঁজ মমতার
বাংলার ভোট মরশুমে নির্বাচনী প্রচারে রাজনৈতিক চর্চা তো চলছেই। সব পক্ষকেই দেখা যাচ্ছে রণংদেহি ভঙ্গিতে। তারই মধ্যে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধরা পড়লেন একেবারে ভিন্ন মেজাজে। হঠাৎই ভোট প্রচার করতে করতেই তাঁর মনে পড়ে গেল এক সময়ের বান্ধবীর কথা। আশা করেছিলেন তাঁর বান্ধবী উপস্থিত আছেন!
মমতার মনে পড়ে গেল বান্ধবী বুলুর কথা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলাগড়ে দলীয় প্রার্থী মনোরঞ্জন ব্যাপারীর সমর্থনে নির্বাচনী সভায় মেজাজেই সভা করছিলেন। বাক্যবাণ ছাড়ছিলেন প্রতিপক্ষের উদ্দেশ্যে। হঠাৎ তাঁর কথায় উঠে এল গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রার প্রসঙ্গ। বলেন, গুপ্তিপাড়ার মাহেশের রথের কথা। সেই কথা বলতে গিয়েই মমতার মনে পড়ে গেল বান্ধবী বুলুর কথা।
আয়, বুলু একবার দেখা করে যা! ডাক মমতার
মমতা হঠাৎ বক্তব্যের মাঝেই বলতে শুরু করেন, আমরা সঙ্গে ছোটবেলার কাজ করত একটা মেয়ে, নাম তার বুলু। ওর বিয়ে হয়েছে গুপ্তিপাড়ায়। বুলু কি এসেছে মিটিংয়ে। আয়, বুলু একবার দেখা করে যা। মমতা বলেন, আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, তখন বুলু খুব আসত, কতদিন দেখা হয়নি দুজনের!
না আসুক, আমার কথা নিশ্চয়ই শুনছে বুলু
না, বান্ধবী বুলু আসেননি দেখা করতে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভাতেই তিনি হয়তো আসেননি। খানিকক্ষণ থেমে মমতা বলে ওঠেন, না আসুক, আমার কথা নিশ্চয়ই শুনছে বুলু। আজ না হলেও কাল দেখা হবেই। পুরনো বান্ধবী বুলু, তাঁকে ভুলি কী করে! আবার গুপ্তিপাড়ায় এলেই আমার মনে হবে বুলুর কথা।
ভোট-উত্তাপের মাঝে একঝলক শান্তির হাওয়া
এবার বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে একেবারেই অন্য মোড়কে। প্রতিদিনই একে অপরের বিরুদ্ধে নির্মম তোপ দাগছেন। প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীরাও ছাড়ছেন না পরস্পরকে আক্রমণ করতে। উঠছে নয়া স্লোগান। আর ভোটে তার প্রভাবও পড়ছে, মার খাচ্ছেন মহিলা প্রার্থীরাও। এহেন ভোট-উত্তাপের মাঝে একঝলক শান্তির হাওয়া বয়ে গেল মমতার পুরনো বন্ধুর খোঁজে।
অনুপ্রবেশ ঘটলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আগে পদত্যাগ করুন, তুফানগঞ্জের সভা থেকে অমিত শাহকে নিশানা অভিষেকের