দ্রৌপদী মুর্মুর পক্ষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! বিজেপির কাছে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক হারানোর ভয়, নাকি শুভেন্দু
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) বিরোধী শিবিরের প্রার্থী বাছাই করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনিই। আর বিজেপির তরফে আদিবাসী নেত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) প্রার্থী হিস
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (Presidential Election) বিরোধী শিবিরের প্রার্থী বাছাই করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন তিনিই। আর বিজেপির তরফে আদিবাসী নেত্রী তথা ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুকে (Droupadi Murmu) প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) যেন একটু মুশকিলেই পড়েছেন। ইতিমধ্যেই তিনি মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর জেতার সম্ভাবনাই বেশি। আর রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দ্রৌপদী মুর্মু যে জিতবেন, তা তাঁর নাম ঘোষণার দিন থেকে আর রাজনৈতিক সমীকরণ থেকে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি
প্রথমে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়াতে চান ফারুক আবদুল্লা। তারপরে একে একে শরদ পাওয়ার এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধী। শেষে মুখরক্ষা যশবন্ত সিনহাকে দিয়ে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থীকে পাচন গেলার মতো সমর্থন করছেনকংগ্রেস থেকে বামদলগুলি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন এনডিএ-র আদিবাসী প্রার্থীর বিরুদ্ধে তাঁদের প্রার্থী বাছাই নিয়ে আরও বিচার বিবেচনা করলে ভাল হত। এছাড়াও তিনি বলেছেন, নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর জয়ের সম্ভাবনাই বেশি।
হঠাৎই অবস্থান পরিবর্তন
শুক্রবার
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছেন,
বিজেপি
যদি
তাদের
প্রার্থীর
নাম
আগে
জানাত,
তাহলে
ঐক্যমত্যের
প্রার্থী
দাঁড়
করানো
যেন
রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনে।
তিনি
বলেন,
যদি
জানা
যেত,
এনডিএ
একজন
আদিবাসী
মহিলাকে
প্রার্থী
করারপরিকল্পনা
করছে,
কিংবা
একজন
সংখ্যালঘু
সম্পর্কে
চিন্তা
করছে,
তাহলে
তারাও
অন্য
চিন্তু
করতে
পারতেন।
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেন,
আদিবাসী
ও
মহিলাদের
প্রতি
তাঁর
গভীর
শ্রদ্ধা
রয়েছে।
তবে
শুধু
এবারই
নয়,
২০১২
সালে
রাষ্ট্রপতি
নির্বাচনে
একেবারে
শেষ
মুহূর্তে
তিনি
অবস্থান
পরিবর্তন
করে
প্রণব
মুখোপাধ্যায়কে
সমর্থনের
সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন।
হুল দিবসে শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ
এরই মধ্যে চলে আসে হুল দিবস। সেদিনই একাধিক কর্মসূচিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দ্রৌপদী মুর্মুর কথা তুলে ধরে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন। তিনি বিজেপি ও প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা তুলে ধরে দাবি করেন বিজেপিই আদিবাসীদের কাছের। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু আদিবাসী। তাঁকে প্রার্থী করেছেন নরেন্দ্র মোদী। বিরোধিতা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি চ্যালেঞ্জ নিয়ে বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু জিতবেন, আর ২৩ জুলাই ভোট গণনার পরে মাদল, ধামসার বোলে জঙ্গল মহল ভরিয়ে দেবেন। তিনি বলেন, দ্রৌপদী মুর্মু রাষ্ট্রপতি হয়ে যান, তারপর তাঁকে জঙ্গলমহলে আসার জন্য বলবেন। ফলে রাজ্যের আদিবাসী ভোট টানতে বিজেপি অস্ত্র যে দ্রৌপদীমুর্মু তা কার্যত বুঝিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারী।
পরের দিন মমতার মন্তব্যে জল্পনা
শুভেন্দু
অধিকারীর
মন্তব্যের
পরেই
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়ের
মন্তব্যে
জল্পনা
তৈরি
হয়েছে।
শুভেন্দু
ঘনিষ্ঠরা
বলছেন,
ভয়
পেয়েছেন
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেননা
রাজ্যের
আদিবাসী
ভোট
প্রায়
৭-৮
শতাংশের
মতো।
বাঁকুড়া,
পুরুলিয়া,
ঝাড়গ্রাম,
পশ্চিম
মেদিনীপুর
জেলার
৪
টি
লোকসভা
আসনে
এবং
উত্তরবঙ্গের
আটটি
জেলায়
দার্জিলিং,
কালিম্পং,
আলিপুরদুয়ার,
জলপাইগুড়ি,
কোচবিহার,
উত্তর
দিনাজপুর
এবং
দক্ষিণ
দিনাজপুরে
ছড়িয়ে
রয়েছেন
আদিবাসীরা।
কোনও
কেনোনও
কেন্দ্রে
তাঁদের
ভোটের
হার
প্রায়
২৫
শতাংশেরমতো।
২০১৯-এর
লোকসভা
নির্বাচনে
বিজেপি
জঙ্গলমহলের
সবকটি
আসন
এবং
উত্তরবঙ্গের
আটটির
মধ্যে
ছটি
আসনে
জয়
পায়।
২০২৪-এও
যাতে
সেই
পরিস্থিতি
তৈরি
না
হয়,
তার
জন্য
চেষ্টা
মমতার,
এমনটাই
মন্তব্য
রাজনৈতিক
মহলের
একাংশের।
বিজেপির জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে গোয়েন্দা! তুলে দেওয়া হল পুলিশের হাতে