চোখের জলে টাকা এনেছিলাম ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য! বিধানসভায় ব্যথাতুর মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প এসেছিল বাংলায়। তখন বাম জমানা। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ প্রকল্প ছিল এদিন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্প এসেছিল বাংলায়। তখন বাম জমানা। রাজ্য ও কেন্দ্রের যৌথ প্রকল্প ছিল এদিন। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই প্রকল্পকে সম্পূর্ণ রেলের অধিগ্রহণে আনেন। কিন্তু উদ্বোধনে তিনিই ব্রাত্য। তাই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে দুঃখপ্রকাশ করে তিনি বলেন, চোখের জল ফেলে প্রকল্পের টাকা নিয়ে এসেছিলাম। আর আজ উ্দ্বোধনে ব্রাত্য রাজ্য।
বিধানসভায় ক্ষোভপ্রকাশ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো নিয়ে
১১ বছর পর মেট্রো প্রকল্পের উদ্বোধন হল। কিন্তু সেখানে ব্রাত্য রইলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সমস্ত প্রতিনিধিরাই এই অনুষ্ঠান বয়কট করেন। মুখ্যমন্ত্রীও চটেছেন তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রে না থাকায়। বিধানসভায় দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি। বলেন, চোখের জলে এই প্রকল্প এনেছিলাম। কিন্তু সেই প্রকল্পের উদ্বোধনেও ডাক পেলাম না।
গর্বের মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক
উল্লেখ্য, ইস্ট-ওয়েস্ট প্রকল্প আসার পর তার যাত্রাপথ নিয়ে নানা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। জট কেটে পথ চলা শুরু করল প্রথম পর্যায়ে। সেক্টর ফাইভ থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত মেট্রো চলাচল শুরু হল। এই মেট্রো সম্প্রসারিত হবে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত। এই গর্বের মেট্রোর উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠল।
নাম ছিল না মমতার
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রিতের তালিকায় সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার, বিধায়ক সুজিত বসু, পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণা বসুর নাম থাকলেও, নাম ছিল না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সাংসদ-বিধায়ক-চেয়ারম্যান এই অনুষ্ঠান বয়কট করেন। রেলমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল ও কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র হাত ধরে যাত্রা শুরু হয় ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর।
আজ বড় দুঃখ লাগে
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আজ দুঃখ লাগে তারা যখন মেট্রোর একটা রুট চালু করেও একটু আমাদের জানায় না। চোখের জল ফেলে এই প্রকল্পের জন্য টাকা এনেছিলাম। বাংলাকে বঞ্চনা করে কেন্দ্র যদি মনে করে সব কিছু করে নেবে বাংলা তা মেনে নেবে না। বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয় যে, চোখ বুজে সব মেনে নেবে।