ওমিক্রনের হানায় ফের কনটেনমেন্ট জোন কলকাতায়! স্কুল-কলেজ নিয়েও বার্তা মমতার
ওমিক্রনের হানায় ফের কনটেনমেন্ট জোন কলকাতায়! স্কুল-কলেজ নিয়েও বার্তা মমতার
বড়দিনের উৎসবে মেতে উঠেছিল কলকাতা। তারপরেই লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংমক্রণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনার এই বাড়বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ন। বুধবার গঙ্গাসাগরে জেলার প্রশাসনিক বৈঠক থেকে তিনি করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করলেন। এরপরই তিনি নির্দেশ দিলেন প্রশাসনকে তৎপর হতে। প্রয়োজনে ফের করোনা বিধি লাগু করার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে। তবে ওমিক্রন নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ওমিক্রন মারাত্মক নয়। তবে বেশি ছড়ায়। ফলে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। এই সংখ্যা কীভাবে কমানো যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনে ৩ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হবে।
একইসঙ্গে কলকাতা তথা বাংলায় স্কুল কলেজ বন্ধ রাখা নিয়েও পর্যালোচনার বার্তা দেন তিনি। যেমন কলকাতায় ওয়ার্ডভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন হবে, তেমনই স্কুল-কলেজ নিয়েও পর্যালোচনায় জোর দিতে বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি সংক্রমণ বাড়তে থাকে তবে স্কুল-কলেজ ফের বন্ধ রাখা হবে।
শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তিনি অন্যান্য সমস্ত করোনা বিধি আরোপ করার জন্য প্রয়োজনীয় পর্যালোচনা করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনকে। প্রয়োজনে ট্রেনের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে সরকারি দফতরে হাজিরার সংখ্যাো ৫০ শতাংশ করে দেওয়ার কথা বলেন তিনি। ৫০ শতাংশ ওয়ার্ক ফর্ম হোম করে দেওয়ার বার্তাও দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে দেশের বুকে আছড়ে পড়েছে। বাংলাকে এবার সতর্ক থাকতে হবে। কোনওমতেই তা বাড়তে দিলে চলবে না।
গঙ্গাসাগরে প্রশাসনিক বৈঠক থেকেই স্বাস্থ্যসচিবকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, কোনও কালক্ষেপ নয়, চটজলদি পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। স্কুল-কলেজ কিছুদিন বন্ধ থাকলে থাকুক, তা তিনি শিক্ষাসচিবকেও খতিয়ে দেখতে বলেন। সমস্ত বিধিনিষেধ আরোপ করে করোনা র তৃতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়া আটকাতে হবে।
Recommended Video
মমতা বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে শুরু করেছে। তারপর ওমিক্রনও হাজির। এই ওমিক্রন আবার বেশি ছড়ায়। তাই করোনা যাতে ছড়িয়ে না পড়তে পারে, তার জন্য আগাম সতর্কতা জরুরি। তারপর আমরা বুস্টার ডোজ নিয়ে ভাবব। এদিকে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে বাংলায়। বাংলায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১১। এদিন পাঁচ জন ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তার মধ্যে একজন বিদেশ থেকে ফেরা। অন্য চারজন বাংলার বাসিন্দা।