কংগ্রেস অক্সিজেন না দিলে ১০ আসনও জুটত না বিজেপির, কোন অঙ্কে এ সাফাই মমতার
ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর সিপিএম ও কংগ্রেসের ঘাড়েই বন্দুক রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'সিপিএম কার্যত আত্মসমর্পণ করেছে বিজেপির কাছে। ইভিএমে কারচুপি থেকে শুরু করে টাকা ছড়ানো এবং বহিরাগত এনে ভোট করানোর পর প্রতিবাদ করেনি সিপিএম। আর কংগ্রেসও শোচনীয় ব্যর্থ।' ত্রিপুরায় বিজেপির জয়কে এভাবেই ব্যাখ্যা করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বললেন, 'এটা বিজেপির জয় নয়, এটা সিপিএমের পরাজয়। সিপিএমের অহংকারের পরাজয়।'
ত্রিপুরায় টানা ২৫ বছরের বাম শাসনের অবসানের পর সিপিএম ও কংগ্রেসের ঘাড়েই বন্দুক রাখলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যাখ্যা করলেন, এই জয়ে বিজেপির এত উৎসাহিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ এটা ত্রিপুরার প্রথম পরিবর্তন নয়। এর আগেও ত্রিপুরার পরিবর্তন হয়েছিল। '৮৮ সালে ত্রিপুরায় পরিবর্তন ঘটিয়ে কংগ্রেস সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। '৯৩ সালেও কংগ্রেস জয়ের জায়গায় ছিল।
আর এবারের ফলাফল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যাখ্যা, বিজেপিকে অক্সিজেন দেওয়া হল ত্রিপুরায়। কংগ্রেস ও সিপিএম উভয় মিলে এই অক্সিজেন দিল বিজেপিকে। এটা ঠিক যে ত্রিপুরায় প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া ছিল। তা সত্ত্বেও বিজেপির এই বাড়বাড়ন্ত আটকানো যেত। কিন্তু তা হল না কংগ্রেসের অবুঝ রাজনীতি আর সিপিএমের ব্যর্থতায়।
মমতা বলেন, কংগ্রেস যদি ত্রিপুরায় লড়াই করত, তাহলে এই ফল করতে পারত না বিজেপি। তারপর আমি নিজে রাহুল গান্ধীকে জোটের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব মানে নি কংগ্রেস। তার ফল ভুগতে হল ত্রিপুরায়। জোট গড়লে ১০টি আসনও পেত না বিজেপি। তার উপর ত্রিপুরা দখল করবার জন্য সমস্ত রকম অপচেষ্টা করেছে বিজেপি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ইভিএমে কারচুপি তো আছেই। এরপরও টাকা ছড়িয়ে, বহিরাগতদের এনে ভোট করেছে। সিপিএম সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসেছিল। কোনওরকম প্রতিবাদ করেনি সিপিএম। তার ফলে ত্রিপুরায় বিজেপি জয় পেয়েছে। মাত্র ৫ শতাংশের ব্যবধানে এই জয়। সিপিএম যদি বিজেপিকে গুরুত্ব দিত, আর কংগ্রেস যদি লড়াই করত এ রাজ্যে তাহলে এই জয় হাসিল করতে পারত না বিজেপি।