বিজেপিকেই দেশছাড়া করবে মানুষ! ঝাড়খণ্ডে ঝাড় খেয়েছে, এবার বিহার-দিল্লির পালা, দাবি মমতার
বিজেপিকে জবাব দিতে শুরু করেছে মানুষ। আগে মহারাষ্ট্রের মানুষ জবাব দিয়েছিল। এবার নির্বাচনে জবাব দিল ঝাড়খণ্ড। গণতন্ত্রে মানুষই শেষ কথা বলে। ঝাড়খণ্ডে হেরে বিজেপি বুঝেছে সেই ঝাড় কতটা সাংঘাতিক হতে পারে। মানুষই বিজেপিকে তাড়িয়ে ছাড়বে। এবার বিহার ও দিল্লিতেও হারবে বিজেপি।

গণতন্ত্রে মানুষই জবাব দেয়
মমতা বলেন, গণতন্ত্রে মানুষই জবাব দেবে। যেমন ঝাড়খণ্ডের মানুষ বিজেপির দেশভাগের চক্রান্তকে জবাব দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের কাছে বড়সড় ধাক্কা ঝাড়খণ্ডে পরাজয়। কেউ যদি মনে করে, শুধু তারা থাকবে, আর কেউ থাকবে না, সেটা হতে পারে না। বিজেপি এখন ভাবুক, আগামী দিনে ওরা থাকবে কি না!

বিহার ও দিল্লিতে হারবে বিজেপি
আগামী বছরে বিহার ও দিল্লিতে ভোট রয়েছে, সেই ভোটেও বিজেপি হারবে। কেননা দেশের মানুষ বুঝে গিয়েছে, তাদের কাছে বড় ভয় বিজেপি। বিজেপির শাসনে গোটা দেশে আগুন জ্বলছে। আমরা সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার পক্ষে। গান্ধীজি সারা দেশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার আন্দোলন করেছিলেন। আমরাও বিজেপির বিভাজনের বিরুদ্ধে সেই আন্দোলনে নেমেছি।

মানুষই ঠিক করে দেবে কে ক্ষমতায়
মমতা বলেন, মানুষ ঠিক করবে কে ক্ষমতায় থাকবে। ভবিষ্যতে তাই তাঁরাই দেখিয়ে দেবে পথ। দেশের মানুষকে কেউ তাড়াতে পারবে না। মানুষই সরকার থেকে তাড়িয়ে দেবে বিজেপিকে। সবাই আপনাদের চাকর-বাকর নয়। এটা ভুলে গেলে চলবে না। সবার উপরে মানুষ। মানুষই ঠিক করে দেবে কে ক্ষমতায় থাকবে।

বাংলার গণতন্ত্র দেখে শিক্ষা নিক
মমতা বলেন, দেখ, বাংলার গণতন্ত্র। তেরা আমাদের উত্তরপ্রদেশে ঢুকতে দিলি না। আর আমাদের বাংলায় তোরা প্লেনে করে এলি, আর হাঁটতে না পেরে গাড়িতে করে মিটিং করে চলে গেলি। মহারাষ্ট্র আগেই জবাব দিয়েছে, এবার জবাব দিল ঝাড়খণ্ড। তোরা জবাব পাবি বিহার, দিল্লিতেও। তাই আগে দিল্লি সামলা, তারপর ভাবিস বাংলা।