মোদী বনাম মমতার ব্যাটেল ২.০, বিরোধী ‘মুখ’ পেতেই একজোট অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা
মোদী বনাম মমতার ব্যাটল ২.০, বিরোধী ‘মুখ’ পেতেই একজোট অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা
মোদী বিরোধিতায় ফের জাতীয় রাজনীতির মুখ হয়ে উঠছেন মমতা। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকে ছাপিয়ে মোদী বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দেখা যাচ্ছে আঞ্চলিক দলকে নেতৃত্ব দিতে। সিএএ-এনআরসির পরে মোদী বিরুদ্ধে যুদ্ধে মমতাই হয়ে উঠছেন বিরোধী মুখ। ফের মোদী বনাম মমতার ব্যাটল ২.০ নিয়ে জাতীয় রাজনীতি উত্তাল।
অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা একজোট
সম্প্রতি প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ সংশোধন বিল ২০২০ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের বিরোধিতায় নামে। তিনি আহ্বান জানান অবিজেপি রাজ্যগুলিতে প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে। অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করে তিনি চাইছেন একে একে পত্রাঘাত করতে।
মমতার জোটে যাঁরা
তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্র ফের ফেডারেল কাঠামো লঙ্ঘন করছে। কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রীরাও মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছেন। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, রাজস্থানের অশোক গেহলট, ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেলও চিঠি লিখেছেন। অ-কংগ্রেসী মুখ্যমন্ত্রীরাও যেমন তেলেঙ্গানার কে চন্দ্রশেখর রাও, অন্ধ্রপ্রদেশের জগনমোহন রেড্ডিরা ক্ষুব্ধ হয়ে চিঠি লিখেছেন কেন্দ্রকে।
মোদী বিরোধিতায় সোচ্চার
ডিএমকে সুপ্রিমো এমকে স্টালিনের মতো ক্ষমতায় নেই এমন গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গের কাছেও পৌঁছে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা। তাঁরাও প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বিদ্যুতের শুল্কের বিষয়ে স্থিতাবস্থা রাখার আর্জি জানিয়েছেন।
দরিদ্রদের সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিদ্যুৎ শুল্কের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কেন্দ্রের নির্দেশ 'জনগণবিরোধী' বলে মনে করেন। সেই সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়ে থেকে দরিদ্রদের সমস্যা নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হওয়ার তাঁর স্বাভাবিক স্বভাব রয়েছে। তিনি বিশ্বাসী যে, একত্র প্রতিবাদেই এই সংশোধনী বন্ধ করা যেতে পারে।
বিদ্যুতের পুরো বিল ও ভর্তুকি
এই আইন অনুযায়ী সরাসরি ভর্তুকির সুবিধা উপভোক্তাকে দেওয়া হবে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা নির্ধারিত শুল্ক অনুযায়ী গ্রাহকদের চার্জ করতে পারবে। এই আইনে বিদ্যুতের বিল পুরোটাই মেটাতে হবে গ্রাহকদের। ভর্তুকির টাকা সরাসরি গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরিত হবে।
ভারতজুড়ে অভিন্ন শুল্কের হারে বিদ্যুৎ বিল
তৃণমূলের যুক্তি, অনেক উপভোক্তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই এবং এমনকী যদি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকেও তবে পুরো বিল পরিশোধ করার মতো অবস্থায় সবাই নেই। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেছেন, মোদী সরকার এমন এক সময়ে এই বিল পাস করতে চলেছে, যখন টানা লকডাউন চলছে। খসড়ায় ভারতজুড়ে অভিন্ন শুল্কের হার নির্ধারণের জন্য একটি নিয়ন্ত্রক কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
ফের মমতা জাতীয় রাজনীতির মুখ!
তবে এই প্রথম নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। গত ডিসেম্বরে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে অবিজোপি জোট তৈরি করতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ এবং প্রস্তাবিত এনআরসি-র বিরুদ্ধে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী ও এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার, ফারুক আবদুল্লাহকে তিনি চিঠিও লিখেছিলেন।
করোনা মোকাবিলায় অমরিন্দরের প্রশংসা, অন্যরাজ্য গুলিকে পাঞ্জাব মডেল অনুসরণের বার্তা মোদীর