লক্ষ্যে পঞ্চায়েত! উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে কোন জেলায় কে, স্থির করে দিলেন মমতা স্বয়ং
এখনও ভোট-ভবিষ্যৎ আইনি জটে আটকে আছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে থেমে নেই পঞ্চায়েতের প্রচার। থেমে নেই প্রচার পরিকল্পনাও।
এখনও ভোট-ভবিষ্যৎ আইনি জটে আটকে আছে কলকাতা হাইকোর্টে। তবে থেমে নেই পঞ্চায়েতের প্রচার। থেমে নেই প্রচার পরিকল্পনাও। যতই এক-তৃতীয়াংশ আসনে ভোট হয়ে যাক, বাকি দুই-তৃতীয়াংশ আসনের জন্য ঝাঁপাচ্ছে সবদলই। বসে নেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নিজে পঞ্চায়েতের প্রচার করবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কাদের দায়িত্ব দিচ্ছেন কোন জেলায়, তা স্থির করে দিলেন মমতা স্বয়ং।
[আরও পড়ুন:মানব না উসকানি! প্রমীলা-বাহিনীর বাধার মুখে দিলীপ, ফিরতে হল প্রচার না করেই]
১৪ মে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট হচ্ছে ধরে নিয়েই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন মন্ত্রীকে কোন জায়গায় পাঠাবেন সেই তালিকা প্রস্তুত করেছেন। সোমবার থেকেই মন্ত্রীদের জেলা সফর শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রকাশিত তালিকা অনুযায়ী পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার।
তেমনই ফিরহাদ হাকিমকে পাঠানো হচ্ছে পুরুলিয়া, হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায়। মালদহ ও দুই দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে শশী পাঁজাকে। অরূপ বিশ্বাসকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হুগলির। সেইসঙ্গে তিনি যাবেন উত্তর ২৪ পরগনাতেও। আর চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে ব্যবহার করা হবে বাঁকুড়া ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। এছাড়া জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা চষে বেড়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা অনুযায়ী উত্তর ২৪ পরগনা জেলার উপর বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, মানুষের সঙ্গে আরও জনসংযোগ বাড়াতে হবে। যাতে কোনওভাবেই মানুষের কাছে ভুল বার্তা না যায়। রাজ্যের উন্নয়নের কথা, জনদরদী প্রকল্পের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে। রাজ্যের মন্ত্রীদের তিনি বলেছেন জেলায় জেলায় ঘুরে ঘুরে প্রচার করতে। শুধু জনসভা নয়, মানুষের দোরে দোরে যেতেও বলা হয়েছে মন্ত্রীদের। মোটকথা, উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে মানুষের দরবারে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন:ভাঙনে বিপাকে তৃণমূল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে 'ঘরে' ফিরলেন শতাধিক নেতা-কর্মী]