শুভেন্দুকে হারাতে জনসংযোগই ভরসা মমতার, নন্দীগ্রাম চষে বেড়ানোর পরিকল্পনা
শুভেন্দুকে হারাতে জনসংযোগই ভরসা মমতার, নন্দীগ্রাম চষে বেড়ানোর পরিকল্পনা
নন্দীগ্রামে এবার মমতার লড়াই তাঁরই প্রাক্তন সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে। একেবারে শেয়ানে শেয়ানে লড়াইয়ের অপেক্ষায় দিন গুণছে নন্দীগ্রাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার মনোনয়নপত্র পেশ করে শুভেন্দুর সঙ্গে সম্মুখসমরে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বলে ব্যাখ্যা করলেন। আর দিলেন পুরো নন্দীগ্রাম চষে ফেলার বার্তা।
জনসংযোগে নন্দীগ্রাম চষে ফেলতে চাইছেন মমতা
নন্দীগ্রাম থেকে জয় ছাড়া কিছু ভাবছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর হেঁটেই তিনি নন্দীগ্রাম চষে ফেলতে চাইছেন। যুদ্ধজয়ের বার্তা দিতে চাইছেন। তবে শুধু পদযাত্রা নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গলিতে গলিতে ঘুরছেন। চা বানাচ্ছেন। একেবারে ঘরের মেয়ে হয়ে উঠছেন। জনসংযোগের চূড়ান্ত সীমায় উঠে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন।
মমতা ভরসা করছেন জনসংযোগের উপর
নন্দীগ্রামের মানুষের কাছেও তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী বড় আপনার জন হয়ে উঠেছেন স্বল্প দিনেই। শুভেন্দুর বিরুদ্ধে প্রেস্টিজ ফাইটে জিততে মমতা ভরসা করছেন জনসংযোগের উপর। তাই গোটা নন্দীগ্রামে তিনি ঘুরে ফেলতে চাইছেন। এই যে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন, সেই কদর এখন থেকে নন্দীগ্রামবাসীর মুখে মুখে ফিরছে।
মানুষ যদি তাঁর পাশে থাকেন, কারও সাধ্যি নেই হারানোর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম থেকেই অঙ্ক কষে নিয়েছেন, নেতারা কে থাকল, কে গেল বড় কথা নয়। সবার উপরে হল মানুষ। মানুষ যদি তাঁর পাশে থাকেন, তবে কারও সাধ্যি নেই তাঁকে হারাবে। বিগত ১০ বছরে তিনি বাংলার মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এমন কোনও মানুষ নেই যে সরকারি সুবিধা পায়নি। ফলে তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফেরাবেন বলেই বিশ্বাস।
উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দীগ্রাম আন্দোলন মমতাকে রাজ্যে উত্তরণের পথ দেখিয়েছিল। এবার সেই পথ ধরেই তিনি নন্দীগ্রামের মানুষের কাছে এসেছেন। এলাকায় থাকার জন্য বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন। পরে একটা কুঁড়েঘর বানাবেন বলেও জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামকে তিনি বিশ্বের দরবারে নিয়ে গিয়েছেন। এবার নন্দীগ্রামের মানুষকে সবার সেরা করে তুলতে চান তিনি। তাই উন্নয়নের ডালি সাজিয়ে দেওয়ার বার্তা দিয়েছেন মমতা।
১০০ শতাংশের দরবারে আবেদন মমতার
মমতা এখানে এসে ১০০ শতাংশের দরবারে আবেদন রেখেছেন। বিজেপি এখানে হিন্দুত্বের তাস খেলতে চাইছে। তাই ৩০ শতাংশ আর ৭০ শতাংশের গল্প ফেঁদেছেন। আর মমতা মাজার থেকে মন্দিককে এক করে ১০০ শতাংশের আশীর্বাদ প্রার্থী হয়েছেন। কোনও ভোট মেরুকরণ নয়, সবার কাছে ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন মমতা।
বিজেপির থাবায় বিরাট ভাঙন তৃণমূলে, ভোটের মুখে আরও এক বিধায়কের যোগ পদ্মশিবিরে