মোদীর ডাকা 'জনতা কার্ফু' কার্যত অস্বীকার মমতার! মিড ডে মিল কর্মসূচিতেই স্পষ্ট
মোদীর ডাকা 'জনতা কার্ফু' কার্যত অস্বীকার মমতার! মিড ডে মিল কর্মসূচিতেই স্পষ্ট
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ডাকা 'জনতা কার্ফু' পালন করার আহ্বানকে কার্যত অস্বীকার করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সরকার গণপরিবহন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবং মিড ডে মিলের চাল ও অন্যান্য সামগ্রী নিতে শিক্ষকদের স্কুলে আসার নির্দেশ দিয়েছেন। এভাবেই তিনি মোদীর ডাক অস্বীকার করেছেন।
পরিবহণে লাগাম নেই
একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রবিবার গঙ্গায় বাস, মিনি বাস, ট্রাম বা জাহাজের পরিষেবা বাতিল করার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সমস্ত পরিবহণ যানবাহন চালানোর আগে তাদের জীবাণুনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মিড ডে মিলে শিক্ষকদের আহ্বান
কোভিড ১৯-এর কারণে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকাকালীন মিড ডে মিলের আওতায় চাল ও আলু বিতরণের জন্য সংগ্রহ ও প্রস্তুতিমূলক কাজের জন্য শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতেও বলা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দুই কেজি চাল এবং আলু বিতরণের ঘোষণা করেছিলেন।
লিখিত আদেশ জারি রাজ্যের
শিক্ষকরাও জানান, আমরা ইতিমধ্যেই চাল সংগ্রহ করেছি। রবিবার আমরা আমাদের কোটার আলু সংগ্রেহ করি। রাজ্য সরকার এই মর্মে একটি আনুষ্ঠানিক লিখিত আদেশ জারি করেছে। তাই আমরা স্কুলে উপস্থিত হয়ে মিড ডে মিলের খাদ্যদ্রব্য সংগ্রহ করেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের এই সিদ্ধান্ত বিজেপি তীব্র সমালোচনা করে।
বিজেপির নিশানায় মমতা
রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, করোনার ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী জনতা কার্ফু-র আহ্বান জানিয়েছেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন মিড ডে মিল প্রদানের জন্য। তার ঘৃণ্য রাজনীতির ব্র্যান্ডের কারণে গুরুতর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের পাল্টা সাফাই
তৃণমূল নেতা স্নেহাশীষ চক্রবর্তী জানান, আমি মনে করি না যে রাজ্য বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সম্বোধন মনোযোগ সহকারে শুনেছেন। তিনি কখনও জরুরি সেবা বন্ধের আহ্বান করেননি। এক্ষেত্রে শিক্ষকরা জরুরি পরিষেবা সরবরাহ করছেন, কারণ অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার তাদের শিশুর সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য মিড ডে মিলের উপর নির্ভর করে।