মমতার উদ্যোগে রাজ্যে গড়ে উঠছে 'কোভিড ওয়ারিয়র' ক্লাব, সমবেত প্রচেষ্টায় করোনা জয়ই লক্ষ্য
মমতার উদ্যোগে রাজ্যে গড়ে উঠছে 'কোভিড ওয়ারিয়র' ক্লাব, সমবেত প্রচেষ্টায় করোনা জয়ই লক্ষ্য
একের সাহায্যে এগিয়ে আসবেন অপরজন। করোনা জয়ী নিয়েই এবার করোনা রোগীদের মনোবল বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করেতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেজন্যই নতুন সমবায় ক্লাব গঠন করার কথা ঘোষণা করলেন তিনি। এই ক্লাবে করোনা জয়ীদের সদস্য করে করোনা রোগীদের সহায়তা করা হবে।
কোভিড রোগীদের সারাতে জয়ীদের নিয়ে ক্লাব
মুখ্যমন্ত্রী এদিন রাজ্যের তরফে একটি নতুন সমবায় ক্লাব গঠন করার কথা ঘোষণা করেন। এই ক্লাব কোভিড থেকে বেঁচে যাওয়া লোকদের নিয়ে গঠিত। রাজ্যে অন্যান্য করোনা আক্রান্তদের জন্য তাঁরা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেবেন এবং তাঁদের লড়াইয়ের মনোভাব প্রদান করতে সহায়তা করবেন। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুরে গঠিত প্রথম ক্লাবে এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রাজ্যে গড়ে উঠছে 'কোভিড ওয়ারিয়র' ক্লাব
রাজ্যজুড়ে করোনাকে হারিয়ে জয়ী হওয়া ব্যক্তিদের নিজ নিজ জেলায় 'কোভিড ওয়ারিয়র' ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য অনুরোধ করো হয়েছে। রাজ্য সরকার অবশ্য স্পষ্ট করেনি যে, করোনাকে হারিয়ে জয়ী ব্যক্তিরা প্লাজমা থেরাপির জন্য অনুপ্রাণিত হবেন কি না।
মমতার রাজ্যে টেলি মেডিসিন পরিষেবা
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফোনে চিকিৎসা সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় টেলি মেডিসিন পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ১ জুলাই থেকে এই পরিষেবা মিলবে, যাতে সামাজিক দূরত্ব আরও বজায় রাখা যায় এবং এই চলমান সংকটের মধ্যে সাধারণের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে যত্ন সহকারে।
করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে জাতীয় ছুটি!
এছাড়া মমতা এদিন করোনা পরিস্থিতিতে লক্ষ লক্ষ ডাক্তার, পেশাদার চিকিৎসক, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ-সহ সমস্ত ফ্রন্টলাইনারদের কুর্নিশ জানাতে ছুটি ঘোষণা করেন ডক্টর্স ডে-তে। একইসঙ্গে জাতীয় ছুটির প্রস্তাবও রাখেন কেন্দ্রের কাছে। নিজের ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্যের চেয়েও মানুষকে আরও যত্ন দিয়েছেন। আমরা প্রতিদিন তাদের সাহসকে ধন্যবাদ জানাই। এবার কুর্নিশ জানানোর উদ্যোগ নেওয়া হল।
'সবচেয়ে উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি' আত্মত্যাগীদের
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা যোদ্ধাদের আত্মত্যাগের পক্ষে এটি 'সবচেয়ে উপযুক্ত শ্রদ্ধাঞ্জলি'। অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও এটি অনুসরণ করা উচিত। দেশব্যাপী চিকিৎসকদের সম্মান জানিয়ে ১ জুলাইকে জাতীয় ছুটি করার বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধও করেছেন। জনগণের জন্য এই মহামারী যুদ্ধের সময় যাঁরা প্রাণ হারিয়েছিলেন তাদের আত্মত্যাগকেও স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
ডক্টর্স ডে-তে করোনা-যোদ্ধাদের কুর্নিশ! ছুটি ঘোষণা করেই জাতীয় ছুটি দাবি মমতার