তৃণমূল মশা আমদানি করে না, তাহলে নির্ঘাত আপনাদের কামড়াত, বিরোধীদের নিশানা মমতার
স্বাস্থ্যে বাংলা মডেল। কেউ যদি মনে করে বিজনেসের স্বার্থে মিথ্যে ভাষণ দেবেন সেটা করবেন না। বিধানসভা বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করলেন।
স্বাস্থ্যে বাংলা মডেল। কেউ যদি মনে করে বিজনেসের স্বার্থে মিথ্যে ভাষণ দেবেন সেটা করবেন না। বিধানসভা বিতর্কের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী সাবধান করলেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্য করে বার্তা দিলেন, আসুন আমরা একসঙ্গে কাজ করি। মানুষের বিপদের সকলে একসঙ্গে পাশে দাঁড়াই। এরপরই বিরোধীদের ওয়াকআউট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা।
তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনাদের যদি ডেঙ্গু নিয়ে জানার ইচ্ছা থাকে, তাহলে কেন উত্তর শুনবেন না। ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনা চাইলেন আপনারাই। আবার উত্তর না শুনে ওয়াকআউট করে চলে যাচ্ছেন, এটা কাম্য নয়। বিরোধী বাম-কংগ্রেসের ওয়াক আউট নিয়ে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতা বলেন, রোগ কেউ চায় না, মানুষের মৃত্যু দুঃখজনক, সচেতনতা প্রচার চলছে বাড়ি বাড়ি, বললেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে সিপিএম বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্যের প্রশ্নের উত্তরে মমতা বলেন, ডেঙ্গুর লার্ভা কি তৃণমূল কংগ্রেস আমদানি করে নিয়ে এসেছে যে, সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপিকে কামড়াবে। মশা আমদানি করার ক্ষমতা আমার হাতে নেই। তাহলে নির্ঘাত তা আপনাদেরই কামড়াত, কটাক্ষ মমতার।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বিরোধীদের আক্রমণের মুখে ভিন রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি অন্য রাজ্যের সঙ্গে এ রাজ্যের পরিসংখ্যান তুলনা করে বলেন, অযথা কেন রাজ্যের সমালোচনা। মমতা বলেন, গুজরাতে ৪,৮৪১ ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ১৫১ জন প্রাণ হারিয়েছেন, মহারাষ্ট্রে ২,২৭১ জনের মধ্যে ২৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে, অসমেও ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে ৯৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। অথচ বাংলাকে নিয়েও সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে, কেন এই দ্বিচারিতা। ৪৪ হাজার লোক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও হাতেগোনা কয়েকজন মারা গিয়েছে। বহু মানুষকে আমরা বাঁচাতে পেরেছি, আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা বাঁচাতে পেরেছেন, বললেন মুখ্যমন্ত্রী।