জয়েন্টে উপস্থিতিতে মাত্র ২৫ শতাংশ! মোদীকে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ-খোঁচা মমতার
জয়েন্টে উপস্থিতিতে মাত্র ২৫ শতাংশ! মোদীকে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ-খোঁচা মমতার
মোদী সরকার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খেলছে। কে তাদের অধিকার দিয়েছে ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করার। পরীক্ষার দুদিন পর নবান্ন থেকে সেই প্রশ্ন তুললেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুললেন, যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারলেন না এই করোনা আবহে, তা স্পষ্ট করুক কেন্দ্রীয় সরকার।
মাত্র ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী জয়েন্টে বসছে!
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার রাজ্যের মাত্র ২৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী জয়েন্টে বসতে পেরেছে। বাকি ৭৫ শতাংশের কী হবে? সেই প্রশ্ন তুলে মোদী সরকারকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এবার ভাবুক মোদী সরকার। এখনও পর্যন্ত কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়নি কেন্দ্র।
করোনা মহামারীর মধ্যেই পরীক্ষা, তাই
সোমবার থেকে গোটা দেশে শুরু হয়েছে জেইই মেন পরীক্ষা। ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষা। করোনা মহামারীর মধ্যে এই পরীক্ষা হোক, চায়নি বেশিরভাগই। তা সত্ত্বেও দাবি মেনে পরীক্ষা পিছিযে দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের আবেদনে সাড়া না দিয়ে নির্দিষ্ট দিনে এই পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
কেন এত জেদ, কেন এত অহংবোধ!
এ প্রসঙ্গেই মোদী সরকারকে খোঁচা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জেইই পরীক্ষার জন্য নথিভুক্তদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশ পরীক্ষার্থী উপস্থিত হয়। আমাদের তরফে সমস্ত ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে কেউই আসেননি পরীক্ষা দিতে। কেন এত জেদ, কেন এত অহংবোধ। এবার ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ কী হবে!
৭৫ শতাংশের ভবিষ্যৎ কী হবে!
মমতার কথায়, আমার বলেছিলাম পরীক্ষা দিতে গিয়ে যদি জীবনটাই চলে যায়, তবে কী হবে! আমরা কী খুব ভুল বলেছিলাম! এই যে ৭৫ শতাংশ পরীক্ষা দিতে পারলেন না, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে! যাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেনি, তাদের কথা পুনর্বিবেচনা করুক কেন্দ্র।
ঘরে বসেই লেখা যাবে উত্তর, একদিন সময়! কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় নয়া নির্দেশিকা