নেতাজিকে সরিয়েছিল ইংরেজরাই! সুভাষচন্দ্র বসুকে কী ভাবে 'অবজ্ঞা' মোদী সরকারের, স্মরণ করালেন মমতা
উদ্দেশ্য ২৩ জানুয়ারি দেশনায়ক সুভাষচন্দ্র বসুর (netaji subhas chandra vose) প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। সেই শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের অনুষ্ঠানে অভিযোগ উঠে এল বিস্তর। বাঙালির আবেগ নেতাজিকে সামনে রেখে নাম না করে বর্তমান মোদী (narendra modi) সরকার অবহেলা করেছে বলে কার্যত অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। সঙ্গে একাধিক দাবিও তুলেছেন তিনি।
রাজ্য পুলিশে হাজার হাজার নিয়োগ ভোটের আগেই! একনজরে পদের ভাগ ও যোগ্যতা

বাঙালির আবেগ নেতাজি
এদিন শ্যামবাজার নেতাজি মূর্তির পাদদেশ থেকে রেড রোড পর্যন্ত প্রায় ছয় কিমি মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর রেড রোডেরে সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নেতাজি হল বাঙালির আবেগ। এই আবেগকে ভুলিয়ে দেওয়া মেনে নেওয়া হবে না। তিনি স্মরণ করিয়ে বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।

নেতাজিকে অবজ্ঞা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাষণে নেতাজিকে অবজ্ঞার অভিযোগ তোলেন বর্তমান মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছে। কিন্তু সেই প্ল্যানিং কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। স্বাধীন ভারতে জওহরলাল নেহরুর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস সরকার প্ল্যানিং কমিশনের প্রয়োগ করে সারা দেশে। কিন্তু ২০১৫-র পয়লা জানুয়ারি থেকে সারা দেশে নীতি আয়োগ চালু করা হয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন বলেন, প্ল্যানিং কমিশন রেখেই নীতি আয়োগ তৈরি করা যেতে পারত। তিনি এদিন প্ল্যানিং কমিশন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি তোলেন। কলকাতা বন্দরের নাম নেতাজি নাম থেকে পরিবর্তন করে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নামে করে দেওয়া হয়। সেই নামকরণের সমালোচনা করেন তিনি।

কেন কোনও মেমোরিয়াল নেই নেতাজির নামে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন প্রশ্ন তোলেন, এখনও কেন নেতাজির নামে কোন মেমোরিয়াল তৈরি করা হল না দেশে। এব্যাপারে নিজের সরকারের সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজাদহিন্দ মনুমেন্ট তৈরি করবে। নেতাজির নামে মনুমেন্ট তৈরি করা না হলেও কোটি কোটি টাকা খরচ করে সংসদ ভবন তৈরি করার মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

ফের নেতাজির জন্মদিনে ছুটির দাবি
এদিন তিনি নেতাজির জন্মদিনকে কেন্দ্রীয় সরকার ছুটির দিন বলে ঘোষণা না করায় ক্ষোভ ব্যক্ত করেন। একইসঙ্গে এই দিনটিকে জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করার দাবি তোলেন তিনি। লড়াইয়ে ভয় পেয়ে ইংরেজরাই নেতাজিকে সরিয়ে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা কোনও অবহেলা সইবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। দেশের চারপ্রান্তে ৪ রাজধানী তৈরির দাবি করে তিনি বলেন দৃষ্টিভঙ্গী বদল করতে হবে। ওয়ান নেশন ওয়ান লিডার চলবে না।