মমতা দুটি বড় ভুল করে ফেলেছেন! লোকসভায় ভরাডুবির পর জনসমক্ষে স্বীকারোক্তি
বিগত আট বছর ধরে বাংলার ক্ষমতায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের সমস্ত হাওয়া কেড়ে নিয়ে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
বিগত আট বছর ধরে বাংলার ক্ষমতায় রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৬ সালে বাম-কংগ্রেস জোটের সমস্ত হাওয়া কেড়ে নিয়ে তিনি বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এবার তাই ৩৪ আসন থেকে বাড়িয়ে লোকসভা নির্বাচনে ৪২-এ ৪২-এর ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু আদতকে মিলেছে ভরাডুবি।
কেন লোকসভায় ভরাডুবি
কিন্তু কেন লোকসভায় ভরাডুবি হল তৃণমূলের। ভোট পরবর্তী পর্যালোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন এজন্য তিনিই দায়ী। এই হারের দায় সম্পূর্ণ তাঁর। কারণ তিনি দল পরিচালনার ক্ষেত্রে দুটি বড় ভুল করে ফেলেছেন। তারই খেসারত দিতে হয়েছে দলকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুটি ভুলের কথা স্বীকার করে হারের দায়ও নিয়েছেন নিজের কাঁধে।
জোড়া ভুলের প্রথমটি কী
কী সেই জোড়া ভুল? তৃণমূল সুপ্রিমো মুকুলের গড়ে দাঁড়িয়েই জানান, দলের অনেকের নিষেধ অমান্য করে তিনি গদ্দারদের দলে রেখে দিয়েছিলেন। আর গদ্দারদের জন্যই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূলকে। অনেকে আমায় সাবধান করেছিলেন, আমি শুনিনি। সেই গদ্দারদেরই বিশ্বাস করেছিলাম। দলের অন্যান্যদের কথা না শোনা তাঁর মস্ত বড় ভুল।
নিশানায় গদ্দার মুকুল
এই মর্মে উঠে এসেছে তিনি আসলে মুকুল রায়ের কথাই বলতে চেয়েছেন। মুকুল রায় দলের একটা সেকেন্ড ইন কম্যান্ড ছিলেন। তাঁকে ফের গদ্দার তকমা দিয়ে কাঠগড়ায় তুলেছেন। মমতা বলেন, আগে রেলের ঠিকাদারি করল, এখন ঘনধন সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড যায়। কেন যায়, কী করতে যায়, সব বুঝি।
আর দ্বিতীয় ভুল হল
বামেদের সরিয়ে ক্ষমতায় আসার পর মানবিক দেখিয়ে বদলা নয়. বদল চাইয়েপ স্লোগানকে বাস্তবায়িত করা। একটাও খুনোখুনি হয়নি বিগত সাত বছরে। এবার বিজেপি এসে খুনোখুনি শুরু করেছে। সিপিএমের আমলে মার খেয়েছি, মানবিকতার খাতিয়ে তৃণমূলে এসে যাঁদের হাতে মার খেয়েছিলাম তাঁদের আপন করে নিয়েছিলাম।
বিজেপির জামা পরে তৃণমূলকে মারছে
এখন আবার তাঁরা বিজেপির জামা পরে তৃণমূলকে মারতে শুরু করেছে। তখন বদলের বদলে বদলার রাজনীতি করলেই বোধ হয় ঠিক হত। সেদিন ক্ষমার দৃষ্টিতে সব বিচার করা বোধহয় ঠিক হয়নি। তাহলে আজ সিপিএম এভাবে খোলস ছেড়ে বেরোতে পারত না। বিজেপির জামা পরে তৃণমূলকে মারতে পারত না।