বিজেপির পার্টি অফিস থেকেই বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত! বিস্ফোরক মমতার চিঠি মোদীকে
বাংলার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে ১৫৪, ওড়িশায় ৫৬, বিহারে ৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তবু দ্বিচারিতা করে বাংলা থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হল।
পাহাড়ে পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের খুনের পরই কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও মোর্চার বিমলপন্থীদের সঙ্গে বিজেপির যোগসাজোশের সুর। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিঁধেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কেন্দ্রের বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক।
সোমবার নবান্নে পাহাড় নিয়ে সর্বদল বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার নয়, বিজেপি পার্টির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বিজেপি-র এক নেতা গিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ে। তারপর পাহাড়ে খুন হল পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিক। এরপরও কী করে পাহাড় থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? প্রশ্ন তোলেন মমতা।
মমতা বলেন, 'যাতে পাহাড় থেকে বাহিনী সরানো না হয়, আমি চিঠি দিয়েছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। আশা করি চিঠি পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত বদলাবে। সমস্যার সমাধান হবে। তিনি বলেন, পাহাড়ে ৬০ কোম্পানি বাহিনী ছিল। তা কমে দাঁড়িয়েছিল ১৫-য়। তাও তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত। আমি ফোন করার পর সাত কোম্পানি রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলার সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডে ১৫৪, ওড়িশায় ৫৬, বিহারে ৪৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রয়েছে। তবু দ্বিচারিতা করে বাংলা থেকে বাহিনী সরিয়ে নেওয়া হল। এটা রাজনৈতিকভাবে ও প্রশাসনিকভাবে ভুল সিদ্ধান্ত। আমি জানি, বিজেপির এক মন্ত্রী এর পিছনে আছেন। তাঁর ইন্ধনেই বিজেপি পার্টি অফিস থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শান্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়ে পাহাড়বাসীকে অপমান করল কেন্দ্রীয় সরকার। আসলে দার্জিলিং ভালো থাকুক চায় না কেন্দ্র। বিজেপি চায় শুধু একটি সিটে জিততে চায়। সেই কারণেই এসব করছে। প্রতিবেশী রাজ্য থেকে বিমল গুরুংরা সাহায্য পাচ্ছে। বিমল গুরুং-রা সাহায্য পাচ্ছে বিজেপি-র থেকেও, সরাসরি অভিযোগ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।