রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নালিশ মমতার, প্রকাশ্যেই বিঁধলেন ধনখড়কে
রাজ্যপালে বিরুদ্ধে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নালিশ মমতার, প্রকাশ্যেই বিঁধলেন ধনখড়কে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সামনেই জগদীপ ধনখড়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রাজ্যপালের উপস্থিতিতেই তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রের গাইডলাইন মেনেই কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেই রাজ্যপাল না জেনেই প্রশ্ন করে চলেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে কোভিড কনসাল্টেন্ট নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই ইস্যুটিকে তুলে ধরেই মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে নালিশ জানান।
ফের রাজ্য পালের সঙ্গে বিরোধ
রাজ্যপাল
জগদীপ
ধনখড়ের
সঙ্গে
যে
রাজ্য
সরকারের
সম্পর্ক
একেবারেই
ভাল
নয়
তা
আর
আলাদা
করে
বলার
অপেক্ষা
রাখে
না।
সরা
সরি
রাজ্যপাল
জগদীপ
ধনখড়ের
বিরুদ্ধে
এবার
প্রধানমন্ত্রী
নরেন্দ্র
মোদীর
কাছে
নালিশ
ঠুকলেন
মুখ্যমন্ত্রী
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়।
এতদিন
রাজ্যপাল
রাজ্য
সরকারের
বিরুদ্ধে
কেন্দ্রের
কাছে
গিয়ে
নালিশ
ঠুকেছেন।
রাজ্যের
আইন
শৃঙ্খলারহ
অবনতি
নিয়ে
কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
অমিত
শাহের
সঙ্গে
দেখা
করে
একাধিকবার
অভিযোগ
জানিয়ে
এসেছেন।
এবার
রাজ্যপালের
বিরুদ্ধে
প্রধানমন্ত্রীর
কাছে
নালিশ
ঠুকলেন
মুখ্যমন্ত্রী।
ধনখড়ের নামে নালিশ
চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধনে এক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী। একুশের ভোটের পর এই প্রথম রাজ্যের কোনও অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে দেখা গেল দুজনকে। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তাঁর সামনেই প্রধানমন্ত্রীকে নালিশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের প্রোটোকল মেনে কাজ করলেও রাজ্যপাল জানেননা বারবার এই নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তিনি বলেছেন, 'চিকিৎসক সঙ্কট রাজ্যে একটি ইস্যু। আরেকটি ইস্যু হল আইএএস অফিসার সঙ্কট। রাজ্যপাল আমাকে প্রশ্ন করেন আমি কীভাবে নিয়োগ করেছি? তিনি আদৌ জানেন না, আমি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে নিয়োগ করেছি। অফিসার যদি না পাই তো আমি কী করব?'। তিনি আরও বলেছেন, কেন্দ্র আমাদের যা গাইডলাইন দেয়, আমরা সেটা অনুসরণ করেই কাজ করি। আমাদের চলার পথটা যতই আলাদা হোক না কেন'।
রাজ্যপালের দাবি
কয়েকদিন আগেই বিভিন্ন দফতরে কনসালটেন্ট নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। রাজ্যের প্রায় ৪০টি দফতরে কনসালটেন্ট ও সিনিয়র কনসালটেন্ট নিয়োগের কথা। এই নিয়োগ কতটা যুক্তিযুক্ত, সেই প্রশ্ন তুলে মুখ্যসচিবকে তলব করেন রাজ্যপাল। এক সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত সব তথ্য নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনে যেতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে নতুন করে রাজভবনের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত তৈরি হয়েছে। তার প্রেক্ষিতেই মুখ্যমন্ত্রী এই নালিশ।
টিকা সংকট নিয়ে মোদীরকে অভিযোগ
এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে রাজ্যে দ্বিতীয় ডোজের করোনা টিকা আসেনি বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেেছন রাজ্যে এখনও ৪০ লক্ষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ আসেনি। তার পাল্টা জবাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছেন পর্যাপ্ত টিকা পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাংলাকে ১১ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে দেড় হাজার ভেন্টিলেটর। বাংলা-সমেত রাজ্যে রাজ্যে ৮ হাজার জন ওষধি কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে।