সবাইয়ের জন্য ন্যূনতম আয়ের প্রতিশ্রুতি মমতার, একুশের মাস্টারস্ট্রোক তৃণমূলের ইস্তেহারে
সবাইয়ের জন্য ন্যূনতম আয়ের প্রতিশ্রুতি মমতার, একুশের মাস্টারস্ট্রোক তৃণমূলের ইস্তেহারে
মমতা পরিবর্তনের সরকার গড়ার পর জনমুখী প্রকল্পে ছয়লাপ করে দিয়েছেন। দরিদ্র মানুষের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ইস্তেহার প্রকাশ করে তিনি জানিয়ে দিলেন সরকারে এলে সবার জন্য ন্যূনতম আয়ের বন্দোবস্ত করবেন তিনি। প্রতিট মানুষের হাতে যাতে ন্যূনতম অর্থ থাকে, তার জন্য পরিকল্পনা সারা তাঁর।
বাংলার প্রতিটি পরিবারে ন্যূনতম আয়
দীর্ঘদিন ধরে অর্থনীতিবিদরা দেশের সরকারকে এই প্রকল্প চালু করার পরামর্শ দিয়ে এসেছে। কিন্তু মোদী সরকার তা আমল দেয়নি। এবার মমতার সরকার তৃতীয়বার টানা ক্ষমতায় আসার লক্ষ্যে সেই প্রকল্প হাতে তুলে নিল। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি ফের সরকার গড়লে বাংলার প্রতিটি পরিবার ন্যূনতম আয়ের আওতায় আসবে।
১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারে আর্থিক সহায়তা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার প্রত্যেক পরিবারের জন্য ন্যূনতম মাসিক আয় সুনিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নতুন প্রকল্প আনার ঘোষণা করেছেন ইস্তেহারে। ১.৬ কোটি যোগ্য পরিবারের কর্ত্রীকে মাসিক আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। অর্থনীতিবিদদের পরামর্শ মেনেই এই মাস্টার-প্রোজেক্ট আনবে মমতার সরকার, যদি একুশের নির্বাচনে তারা জয়যুক্ত হয়।
ন্যূনতম মাসিক আয় কার কত
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভোট ইস্তেহারে জানিয়েছেন, মাসিক ৫০০ টাকা করে জেনারেল ক্যাটেগরিতে পাবেন সাধারণ মানুষ। ফলে জেনারেল ক্যাটাগরির মানুষদের তাদের বার্ষিক আয় দাঁড়াবে ৬ হাজার টাকা। ১ হাজার টাকা করে পাবেন তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবার। তাদের বার্ষিক ১২ টাকা আয় দাঁড়াবে।
বাড়ির মহিলাদের হাতে অর্থ তুলে দিতে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, বাড়ির মহিলাদের হাতে অনেক সময় অর্থ থাকে না। এই সামান্য টাকাও যদি তাঁদের হাতে থাকে, তা সবারই কাজে লাগবে। সেই লক্ষ্য নিয়েই এই প্রকল্প শুরু করা হবে ক্ষমতায় এলে। ইউনিভার্সাল বেসিক ইনকাম নামে প্রকল্পটি অর্থনীতিবিদরা চালু করতে পরামর্শ দিয়েছেন ভারতীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে। তা চালু করার অঙ্গীকার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মমতার ১০ 'টোটকা’ একুশের ভোট-ইস্তেহারে, বাংলা হবে সমৃদ্ধশালী তৃণমূলের হ্যাটট্রিকে