মমতা কেন নন্দীগ্রামকেই বেছে নিলেন, স্মৃতি রোমন্থন করে ব্যাখ্যা একুশে ভোটের মুখে
মমতার ডানহাত বলে পরিচিত ছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু হাতছাড়া হওয়ার পরই নন্দীগ্রাম থেকে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছিলেন বিধানসভা প্রার্থী হিসেবে।
মমতার ডানহাত বলে পরিচিত ছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দু হাতছাড়া হওয়ার পরই নন্দীগ্রাম থেকে তিনি নিজেকে তুলে ধরেছিলেন বিধানসভা প্রার্থী হিসেবে। নিজের কেন্দ্র ভবানীপুর ছেড়ে নন্দীগ্রামে তিনি কেন প্রার্থী হয়েছেন ভোটের মুখে কর্মিসভা থেকে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জবাব দিয়েছেন নন্দীগ্রামের স্মৃতি রোমন্থন করে।
নন্দীগ্রামের মানুষের অনুমতি নিয়েই প্রার্থী
নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামের মানুষের অনুমতি নিয়েই তিনি প্রার্থী হয়েছেন বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর মনোনয়নের আগে সেই নন্দীগ্রামে এসে মমতা বললেন, আপনারা যদি এখনও বলেন, আমি সরে দাঁড়াতে পারি। আপনারা যদি মনে করেন, তবেই আমি মনোনয়ন জমা করব।
নন্দীগ্রাম নতুবা সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত!
এ প্রসঙ্গে মমতা বলেন, আমি এবার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলাম হয় নন্দীগ্রাম নতুবা সিঙ্গুর থেকে প্রার্থী হব। সেইমতোই নন্দীগ্রামকে বেছে নিয়েছি। আমি নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। আর আমাকে ওঁরা বলছে বহিরাগত। এরপরই তিনি অতীত স্মৃতি রোমন্থন করে তুলে ধরলেন কষি আন্দোলনের কথা।
ভবিষ্যতে কী হবে, তাও জানিয়ে দেন মমতা
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে তাঁর ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যাখ্যা করেন, কীভাবে দিনের পর দিন সাধারণের অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন তিনি। নন্দীগ্রামের মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেন, সেদিনটা কেমন ছিল, আর আজ কী হয়েছে নন্দীগ্রাম। ভবিষ্যতে কী হবে, তাও জানিয়ে দেন মমতা।
বহিরাগত নন, নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে মমতা
মমতা বলেন, তিনি নন্দীগ্রাম নিয়ে এত আন্দোলন করার পর কী করে বহিরাগত হন তিনি। তিনি বহিরাগত নন, নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে তিনি সেদিনও ছিলেন, আগামীদিনেও থাকবেন। আগামী দিলেন শিক্ষা-স্বাস্থ্য থেকে শুরু করে সমস্ত পরিষেবা পাবেন নন্দীগ্রামের মানুষ। নন্দীগ্রামে এদিন ব্রিজ তৈরির প্রতিশ্রুতিও দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।