কে বিশ্বাসঘাতক? অধীরের 'ঘরে' ঢুকে হারানোর ডাক দিয়ে মোক্ষম জবাব মমতার
মুর্শিদাবাদের সংগঠন যদি কেউ করে থাকে, তা যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় আমি করেছি। অন্য কেউ নয়। বহরমপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে খোদ অধীর চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুর্শিদাবাদের সংগঠন যদি কেউ করে থাকে, তা যুব কংগ্রেসের সভাপতি থাকার সময় আমি করেছি। অন্য কেউ নয়। বহরমপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে খোদ অধীর চৌধুরীকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে অধীর চৌধুরীকে হারানোর ডাক দিলেন। তাঁর সাফ কথায়, এখানে বিজেপির সমর্থনে কংগ্রেস ভোটে জেতার চেষ্টা করছে, তা হতে দেবেন না।
আমরা নই, বিশ্বাসঘাতক ওরাই
এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ফের আরএসএসের যোগের কথা তুলে ধরেন মমতা। তিনি বলেন, আমরা বিশ্বাসঘাতক নই। আমরা প্রাণ গেলেও বিশ্বাসঘাতকতা করি না। বিশ্বাসঘাতক ওরাই। ওরা দিনের বেলায় সিপিএমের সঙ্গে মিটিং করে, আর রাতে বিজেপির সঙ্গে ভাব করে। এভাবে ভোটে জেতা যায় না। মানুষ এসব বেইমানদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে। এবারের নির্বাচনেই দেখবেন এইসব বিশ্বাসঘাতকদের কী শাস্তি হয়।
হুঁশিয়ারি, আমাকে ঘাঁটাবেন না
মমতা হুঁশিয়ারি দেন, দিল্লিতে সংসদে দাঁড়িয়ে তৃণমূল চোর, তৃণমূল চোর বলে চিৎকার করেছিল একজন। অধীরের নাম না করেই তিনি বলেন, সবাই কী করছে, আমার সব জানা আছে। আমার কাছে সব কাগজ আছে। শুধু রাজনীতিটা করি সৌজন্য বজায় রেখে, তাই সেসব কথা তুলতে চাই না। তাঁর হুঁশিয়ারি, আমাকে ঘাঁটাবেন না।
অধীর চৌধুরীকে হারানোর ডাক
এদিন মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে কংগ্রেসের নাম ও নিশান মুছে দেওয়ার ডাক দিলেন মমতা। সেইসঙ্গে তিনি প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি বলেন, অধীর গড়ে ঘাসফুল ফোটানোর রাস্তাটা তৈরি করেছেন তিনি। আমরা তাঁকে সবাই সাহায্য করেছি। এবার অধীর চৌধুরীকে বহরমপুর থেকে হারানোর ডাক দেন তিনি।
শুভেন্দুর প্রশংসায় পঞ্চমুখ মমতা
মমতার কথায়, '৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৈরির পর প্রতীক পৌঁছে দিতে পারিনি। ২০১৬ সালের পর শুভেন্দুকে এই জেলায় পর্যবেক্ষক করে পাঠানোর পর ও খুব ভালো কাজ করেছে। তাই মুর্শিদাবাদের মাটিতেও তৃণমূল ফুটেছে। এবার লোকসভাতেও এই জেলা থেকে জিতবে তৃণমূল।
সব আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে
মমতা বলেন, মুর্শিদাবাদ, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর- সব আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেস জিতবে। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর মুর্শিদাবাদের উন্নয়নের জন্য সবরকম কাজ করেছে। আমরা জিতিনি তবু আমরা এই জেলাকে উন্নয়নে ভরিয়ে দিয়েছি। আমাদের নেতারা বিশেষ করে শুভেন্দু এই জেলায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে।