সরকারি কর্মীদের ভয়ঙ্কর অসুখের হদিশ পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা! সঙ্গে সঙ্গে দাওয়াইয়ের ব্যবস্থাও
বামেদের সরিয়ে এরাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনমুখী প্রকল্পে তাঁর মন। সেইমতোই বরাদ্দ করেছেন, খরচও। তবু সরকারের ভালো কাজ জনমানসে ততটা প্রভাব ফেলছে না কেন, তার কারণ খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর অসুখের হদিস পেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানতে পারলেন, সরকারি কর্মীদের কাজে মন নেই। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে তাঁকে, তাঁর দলকে।

সরকারি দফতরের কাজে তীব্র ক্ষোভ
বৃহস্পতিবার পর্যালোচনা বৈঠকে সরকারি দফতরের কাজ নিয়েই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক শ্রেণির সরকারি অফিসারের কাজকর্মে তিনি সমন্বয়ের অভাব লক্ষ্য করেছে। যার ফলে সাধারণ মানুষ কিছু কিছু পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

কেন এটা হচ্ছে, দায়িত্ব মুখ্যসচিবকে
মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, কেন এটা হচ্ছে। তা খতিয়ে দেখতে তিনি দায়িত্ব দেন মুখ্যসচিবকে। তারপরেই বৈঠকে একগুচ্ছ দাওয়াই বাতলে দেন মুখ্যসচিব রাজীব সিংহ। তিনি বলেন, লাল ফিতের ফাঁস খুলে প্রশাসনকে আরও গতিশীল করতে হবে। সরকার যেভাবে জনমুখী প্রকল্প নিয়ে চলতে চাইছে, তার প্রভাব যাচাই করতে হবে।

প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় রাশ টানতে
মমতার নির্দেশ পেয়ে মুখ্যসচিব প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় রাশ টানতে চাইছেন। সচিবালয় স্তরে ও জেলায় ডিএমস্তরে তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। জেলাশাসকদের আম দরবার করতে হবে। তারপর ব্লকস্তরেও বসতে হবে ডিএমদের।অন্তত বছরে দুবার ডিএমদের ব্লকস্তরে বৈঠক কতে হবে বলে জানান তিনি।

জনতার দরবারে আসুন আমলারাও
মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন ২০২১-এর আগে তাঁর সরকারের কাজ নিয়ে জনতার দরবারে আসুন আমলারাও। তাঁরা কীভাবে পরিষেবা দিচ্ছেন, সাধারণ মানুষের কী অভাব-অভিযোগ, তা শুনুন নিজের কণ্ঠে। এর ফলে সাধারণ মানুষ আর সরকার অফিসারদের মধ্যে দূরত্বও ঘুচে যাবে। তাঁরা তাঁদের চাওয়া-পাওয়ার কথা সরাসরি আদানপ্রদান করুক।

প্রশাসনিক কাজেরও সরলীকরণ করতে
মুখ্যসচিব বলেন, এভাবেই সমন্বয় বাড়বে, প্রশাসনিক কাজেরও সরলীকরণ সম্ভব হবে। শুধু কাজের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করলেই হবে না, অফিসারদের দায়বদ্ধতাও নিশ্চিত করতে হবে। পরিকল্পনা করতে সময় নষ্ঠ করা চলবে না। চটজলদি কাজ সেরে ফেলতে হবে। কোনও কাজ ফেলে রাখা চলবে না।
তিন মন্ত্রীকে তিরস্কার করলেন মমতা! রেহাই নেই ঘনিষ্ঠ, বর্ষীয়ানদেরও