মমতার মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা, অধিবেশেনের পর যাঁদের উপর বর্তাতে পারে গুরুভার
মমতার মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা, অধিবেশেনের পর যাঁদের উপর বর্তাতে পারে গুরুভার
পুরভোট মিটতেই মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞমহল মনে করছে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশ মিটলেই রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে। কে আসবেন মন্ত্রিসভায়, তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীর দফতর পরিবর্তন হতে পারে।
সূত্রের খবর, বেশ কয়েকজন বর্ষীয়ান মন্ত্রীকে গুরুত্বপূর্ণ দফতর দেওয়া হতে পারে। যে মন্ত্রীরা ২০১১ সাল থেকে রয়েছেন, কিন্তু ২০২১-এর মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দফতর পাননি, তাঁদের ভাগ্যে এবার শিকে ছিঁড়তে পারে। টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর ২০১১ সালের অনেক মন্ত্রী কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর পেয়েছেন। তাঁদের গুরুত্ব এবার বাড়ার সমূহ সম্ভাবনা।
তবে এই রদবদল নিয়ে আদতে জল্পনা চলছে, এখনও স্পষ্ট নয় আদৌ রদবদল এখনই হবে কি না। মন্ত্রিসভায় রদবদল হবে কি না, তা নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি মনে করেন রাজ্য বাজেট অধিবেশনের পরই রাজ্য মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। কয়েকজন প্রবীণ মন্ত্রীর উপর বর্তাতে পারে গুরুভার।
শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রীদের দফতর রদবদল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর তাঁর দফতর দেওয়া হয়েছে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়কে। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শিউলি সাহাকে রেখে দেওয়ার পাশাপাশি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেচারাম মান্নাকে। উল্লেখ্য, তিনি শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রীও।
তারপর ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন। তার আগে তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। তিনি অসুস্থ থাকাকালীন তাঁর দফতর দেওয়া হয়েছিল জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়াকে। ওই দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয় বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাকে। সাধন পাণ্ডের প্রয়াণের পর একটি পদ ফাঁকা হয়েছে। এখন দেখার সেই পদে নতুন কাউকে নেওয়া হয়, নাকি যাঁদের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছিলেন, তাঁদের উপরই ন্যস্ত থাকে দফতরগুলি।
তবে জল্পনা চলছে, নতুন কোনও মন্ত্রীকে নেওয়া হতে পারে। আবার একাধিক দফতর অদলবদলও হতে পারে। ২০২৩-এ রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ফলে পুরভোটে মেটার পর পঞ্চায়েত ভোটকে টার্গেট করে নতুন করে দফতরের রদবদল করা হতে পারে। গত এক সপ্তাহ ধরে কয়েকটি দফতরের মন্ত্রীরা জোর তৎপরতা শুরু করেছেন। তাঁদের সেই তৎপরতার ফলেই জল্পনা বেড়েছে। তাঁদের হাতে অন্য দফতর যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।