পাহাড়ে অশান্তিতেও চিন-যোগ! উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন রাজনাথ সিংকে
পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ ‘চিকেন নেকে’র কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, চিনের জন্য রাজ্যের নিরাপত্তা বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে।
চিনকে নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শুধু জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতিই নন, চিনকে নিয়ে উদ্বেগ চেপে রাখতে পারলেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই উদ্বেগ থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংকে চিঠি লিখলেন তিনি। এমনকী তিনি ফোনেও একাধিকবার কথা বলেছেন রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়েছে চিন প্রসঙ্গে।
চিন নিয়ে উদ্বিগ্ন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত সপ্তাহেই চিঠি লেখেন রাজনাথ সিংকে। সেই চিঠিতে উল্লেখ করেছেন চিনের হস্তক্ষেপ প্রসঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ 'চিকেন নেকে'র কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, চিনের জন্য রাজ্যের নিরাপত্তা বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শুধু রাজ্যই নয়, উত্তর-পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকার নিরাপত্তাও প্রশ্নের মুখে পড়তে বাধ্য। কেননা 'চিকেন নেকে'র মধ্যেই পড়ছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই এলাকা। [আরও পড়ুন:তৃণমূলের সমালোচনা করতে গিয়ে জোর বিপদে বিজেপি নেত্রী রূপা]
মমতার অভিযোগ, গত কয়েক বছরে ভুটান ও নেপাল সীমান্তে সক্রিয়তা বাড়িয়েছে চিন। সেই ছায়া পড়েছে দার্জিলিংয়েও। তা নিয়েই উদ্বেগের কথা লেখা হয় মমতার চিঠিতে। বাংলাদেশেও চিন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তাঁর। পাহাড় অশান্তিতে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাহাড় নিয়ে চিন-উদ্বেগ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কথাও। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রীয় বাহিনী যে ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি, তা স্পষ্ট করে দেন মমতা। বলেন, পাহাড়ের পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী দরকার।
এদিকে হাইকোর্টও কেন্দ্রকে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছে। সেইমতো রবিবার পাহাড়ে দু-কোম্পানি সিআরপিএফ পাঠানো হয়েছে। সোমবারও পাহাড়ে আরও দু-কোম্পানি সিআরপিএফ পৌঁছনোর কথা। দার্জিলিংয়ের গন্ডগোলে চিন থেকে অস্ত্র আসছে, টাকা আসছে। এই সমস্যা দূর করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে।