মোদীর বার্তায় তৎপর হলেন মমতা! মঙ্গলেই জরুরি বৈঠক ডাকলেন জেলা প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে
করোনা লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রীদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁর বার্তা পেয়েই তৎপর হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঙ্গলবার দুপুর এক জরুরি বৈঠক ডাকলেন।
করোনা লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রীদের বিশেষ বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভিডিও কনফারেন্সে তাঁর বার্তা পেয়েই তৎপর হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি মঙ্গলবার দুপুর এক জরুরি বৈঠক ডাকলেন। রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসক, পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে তিনি বৈঠক করবে মঙ্গলবার। মোদীর দেওয় বার্তা ছড়িয়ে দেবেন তিনি।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দেওয়া মোদীর বার্তা
মোদী বলেছেন গ্রামে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায় তা দেখতে হবে। সে জন্য বিশেষ উদ্যোগী হতে হবে রাজ্য প্রশাসনকে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠকের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা প্রশাসনকে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠকের বার্তা দেন। এই বৈঠকে তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সতর্ক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। ভ্যাকসিন প্ল্যান নিয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে।
মমতা যে বার্তা দেবেন বৈঠকে
কলকাতা সংলগ্ন তিনটি জেলা সবথেকে আক্রান্ত করোনার থাবায়। দূরের জেলাগুলিতে এখনও করোনা সে অর্থে থাবা বসাতে পারেনি। এখনও শহর ও শহরতলিতে করোনার সংক্রমণের রমরমা। কিন্তু গ্রামে এখনও করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি বৃহৎ আকারে। এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনওমতেই সংক্রমণ না ছড়ায়, তা নিশ্চিত করতে চাইছেন মমতা।
প্রথম বৈঠকের পর দ্বিতীয় বৈঠকের তোড়জোড়
করোনা সংক্রমণ শুরুর সময় একবার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেউ যাতে জেলা তথা রাজ্যে অনাহারে না থাকে তার জন্য প্রশাসনকে তৎপর হতে বলেছিলেন রেশন কার্ড না থাকলেও সবাইকে রেশন দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। তখন বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবহার নিয়েও বার্তা দিয়েছিলেন।
এবার লড়াই গ্রামকে রক্ষা করার
মমতা তখন সবাইকে ২৪ ঘণ্টা কাজের বার্তা দিয়েছিলেন যুদ্ধকালীন তৎপরতায়। এরপর রাজ্যের করোনার থাবা বেড়েছে। বিশেষ করে করোনা ছড়িয়েছে শহরাঞ্চলে। তার মধ্যে সবথেকে বেশিমাত্রায় ছড়িয়েছে শহর কলকাতায়। তারপর হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় সংক্রমণের মাত্রা বেশি। হুগলি ও পূর্ব মেদিনীপুরেও খানিকর ছড়ালেও, অন্য জেলাগুলিতে উপদ্রব নেই বললেই চলে। তাই এবার লড়াই গ্রামকে রক্ষা করার।