বিজেপিকে ‘অল আউট’ করতে বদ্ধপরিকর মমতা, নজিরবিহীন পথে সংসদে কমিটি
সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কমিটি গড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি এককাট্টা হয়েই বিরোধিতায় নামছেন।
বিজেপির বিরুদ্ধে অল আউট আক্রমণের নির্দেশ দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যে তিনি কমিটিও গঠন করলেন এবার। সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য কমিটি গড়ে তিনি বার্তা দিলেন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তিনি এককাট্টা হয়েই বিরোধিতায় নামছেন। শুক্রবার তৃণমূল ভবনে দলের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা নির্দেশ দিয়েছেন, বিজেপি এবার 'এফআরডিআই বিল আনতে চাইছে।' এর বিরুদ্ধে সর্বস্তরে প্রতিবাদ হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৬ জন সাংসদকে নিয়ে এই সংসদীয় কমিটি গঠন করেছেন। এই ছয় সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, ডেরেক ও'ব্রায়ানরা। তাঁরা সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে। বিজেপি এবার এক 'ড্রাকোনিয়ান ল' আনতে চাইছে। তা কোনওভাবেই মানা হবে না।
নোট বাতিল, জিএসটি-র পর এবার কেন্দ্রীয় সরকার এফআরডিআই বিল আনতে চাইছে। আর এই বিলেরই বিরোধিতাকে হাতিয়ার করে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। সংসদে যেমন এর বিরুদ্ধে সরব হবেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ডেরেক ও'ব্রায়েনের নেতৃত্বে সাংসদরা, তেমনই রাজ্যজুড়েও আন্দোলনের নামারপ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, বিজেপিই আমাদের প্রথম ও প্রধান শত্রু। বিজেপির বিরুদ্ধে তা্ই রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ চলবে। তবে ব্যক্তিগতভাবে কাউকে আক্রমণ করা হবে না। আর কোনওভাবেই বাজে কথার রাজনীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না। অর্থাৎ রাজনৈতিক আক্রমণ শানাতে গিয়ে কোন খারাপ ভাষা ব্যবহার করা যাবে না।
কোর কমিটির বৈঠকেই বিজেপির মিড ডে মিল নিয়েও কেন্দ্রের বিরোধিতায় সুর চড়ান তৃণমূলনেত্রী। তাঁর কথায়, 'এফসিআই বলছে চাল দিতে পারবে না। আসলে এসব মিড ডি মিল বন্ধ করার প্ল্যান। কিন্তু কেন্দ্র যতই জটিলতা পাকাক, রাজ্যের তরফ থেকে সর্বপ্রকার চেষ্টা করা হবে মিড ডি মিল চালু রাখার। মিড ডি মিল আমরা চালু রাখবই।'
এদিন পঞ্চায়েতের প্রাক্কালে সংগঠনকে মজবুত করতে বেশ কিছু কর্মসূচি নিচ্ছে তৃণমূল। ১ জানুয়ারি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। ওইদিন নির্ধারিত কর্মসূচি থাকছে দলের। ১ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্য, জেলা, ব্লকে মিছিল করা হবে। সদস্যপদ সংগ্রহ করা হবে। ২৪ জানুয়ারি নেতাজি ইন্ডোরে ছাত্র-যুব রাজ্য সম্মেলন। সেইসঙ্গে তৃণমূলের সাংস্কৃতিক শাখা তৈরির পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে।