মমতার বাংলা পেল ফের ভারত সেরার তকমা! একুশের আগে লক্ষ্যপূরণ সমীক্ষা রিপোর্টে
২০২১-এর আগে ফের ভারত সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বহু সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০২১-এর আগে ফের ভারত সেরার সম্মান ছিনিয়ে নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। বাংলায় ক্ষমতায় আসার পর বহু সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সেই স্বপ্নের প্রকল্পের মধ্যে থেকে কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর দৌলতে বাংলা ফের ছিনিয়ে আনল ভারতসভায় সেরার তকমা।
সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা তাঁদের সমীক্ষায় জানিয়েছে, এ রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে হ্রাস পেয়েছে। পূ্র্বে এই সংখ্যা ছিল ৩.৩ শতাংশ। এখন সেই সংখ্যা কমে হয়েছে ১.৫ শতাংশ। এর মুখ্য কারণ হিসেবে ধরা হচ্ছে কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথী প্রকল্পকে।
বেসরকারি সমীক্ষক সংস্থা ২৬টি রাজ্যের মোট ৫৮৪টি জেলার ১৬ হাজার গ্রাম থেকে ৫২ হাজার পরিবারকে বেছে নিয়েছিল সমীক্ষার জন্য। ২০১৮ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত হিসেব খতিয়ে দেখে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে সংস্থাটি। পশ্চিমবঙ্গকে তাঁরা সবার উপরে স্থান দিয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গে স্কুলছুটের পরিসংখ্যান ৩.৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৫ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে সমগ্র দেশে এই পরিসংখ্যান ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৫ শতাংশ হয়েছে। ফলত পশ্চিমবঙ্গের এই ক্রমহ্রাসমান স্কুলছুটের সংখ্যাই বাংলাকে সেরার সম্মান এনে দিয়েছে ফের।
সম্প্রতি বিজেপি পরিচালিত কর্ণাটকে স্কুলছুটের পরিমাণ ১১.৩ শতাংশ। তেলেঙ্গানায় ১৪ শতাংশ, রাজস্থানে ১৪.৯ শতাংশ। কিন্তু বাংলায় ভিন্নচিত্র দেখা গিয়েছে। তা হয়েছে ওই সবুজসাথী ও কন্যাশ্রীর জন্য। কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্য আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের সরকারি অনুদানের মাধ্যমে আর্থিক সমস্যা মিটিয়ে স্কুলছুট কমিয়েছে। একইভাবে পরিবহণ সমস্যা মনেটাতে সবুজসাথীর সাইকেলও সহায়ক হয়েছে স্কুলছুট কমাতে।