বাংলায় দুর্গাপুজো বন্ধের ‘ফন্দি’ এঁটেছে বিজেপি! ‘মোদীবাবু’র গদি নিয়ে খোঁটা মমতার
দুর্গাপুজোয় আয়কর লেলিয়ে দেওয়া থেকে বিকৃত তথ্যে ভরা সিনেমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুর্গাপুজোয় আয়কর লেলিয়ে দেওয়া থেকে বিকৃত তথ্যে ভরা সিনেমা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার বারাসতে যাত্রা উৎসবের সূচনা করে মোদী সরকারের বিদায় ঘণ্টা বাজালেন। একে একে ব্যর্থতা তুলে ধরে মমতা জানালেন 'ডিজাস্টার পিএম'-এর গদি এবার থাকলে হয়!
‘গব্বর সিং এখন জব্বর সিং’
মমতার কথায়, এই পাঁচ বছরে এমনই ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন মোদীবাবু ও বিজেপিবাবুরা যে, লোকে দেখলেই ভয় পাচ্ছে মানুষ। সবাই গব্বর সিং আসছে বলে ভাবছে। ভালো ভাবে কথা বলতেই পারেন না! দেশের মানুষের কাছে তিনি জব্বর সিং হয়ে যাচ্ছেন ক্রমশ। নোটবন্দি থেকে শুরু হয়েছে শোষণ, এখন দুর্গাপুজোয় ক্লাবগুলিকে আয়কর নোটিশ পাঠানো হচ্ছে।
‘ক্লাবের গায়ে হাত পড়লে ছাড় নয়’
এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ক্লাবগুলো কি লাভ করার জন্য দুর্গাপুজো করে? আমি বলছি, আয়কর দফতর ডাকলে কোনও ক্লাব যেন না যায়। একটা ক্লাবের গায়ে হাত পড়লে আমরা ছেড়ে দেব না। তিনি প্রশ্ন তোলেন, দুর্গাপুজোয় কারা চাঁদা দেয়। সাধারণ মানুষ চাঁদা দেয়। সেই টাকায় বাংলায় বড় উৎসব হয়। সেই বড় উৎসব তথা দুর্গাপুজোকে আমরা বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছি। আর তাই দুর্গাপুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করছে বিজেপি সরকার।
‘দুর্গাপুজো বন্ধ বলে বুমেরাং হবে’
দুর্গাপুজো বন্ধ করার এই চেষ্টা ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে। বাংলার দুর্গাপুজো যদি বন্ধ হয়, কোনও পুজোতে যদি হাত পড়ে, তবে তার ফল হবে খুব খারাপ। বাংলার মানুষ, দেশের মানুষ মোদীবাবুদের ছাড়বে না। প্রতিহিংসার রাজনীতি বুমেরাং হয়ে ফিরে আসবে। পতন হবে অনিবার্য। উল্লেখ্য, বাংলার ৪৯টি ক্লাবকে দুর্গাপুজোর হিসেব নিয়ে তলব করে নোটিশ পাঠায় আয়কর দফতর।
‘আমরা কি তবে কাঁচকলা খাচ্ছি?’
তিনি প্রধানমন্ত্রী মোদী তথা কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে নিশানায় আরও বলেন, দলীয় প্রতীকের নামে সরকারি লোগো তৈরি হচ্ছে। তারপর শস্য বিমা দিই আমরা, চিঠি দিয়ে মোদী বলছেন আমরা দিই। সবই যদি ওঁরা করেছে, আমরা কি তবে কাঁচকলা খাচ্ছি?
‘চাকরি নেই তায় সংরক্ষণ’
নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে এদিন সংরক্ষণ ভাঁওতা নিয়েও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাত্রা উৎসবের উদ্বোধন মঞ্চ থেকে কেন্দ্রকে নিশানায় মমতা বলেন, দু-কোটি লোককে বেকার করে দিয়েছে মোদী সরকার। আমরা ৪০ লক্ষ বেকারের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। এখন আবার উচ্চবর্ণের জন্য সংরক্ষণ করছে। এসব শুধুই ভাঁওতা, চাকরি নেই তায় সংরক্ষণ। ওই সংরক্ষণ কোনওদিন বাস্তবায়িত হবে না। আর বাস্তবায়িত হলে কোনও সাধারণ পরিবার ওই সংরক্ষণের সুবিধাও পাবে না।