'এখানে একটা ঘোড়ার পাল পাঠিয়েছে'! নাম না করে রাজ্যপাল ধনখড়কে তীব্র আক্রমণ মমতার
নাম না করে ফের একবার রাজ্যপালকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। পাঁচবছর পরে কলকাতায় এই সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে ফের একবার দলের সর্বেসর্বা হিসাবে মনোনীত হয়েছেন ম
নাম না করে ফের একবার রাজ্যপালকে তোপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আজ নেতাজি ইন্ডোরে সাংগঠনিক নির্বাচন ছিল। পাঁচবছর পরে কলকাতায় এই সাংগঠনিক নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছিল। আর সেখানে ফের একবার দলের সর্বেসর্বা হিসাবে মনোনীত হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এরপরেই দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন তিনি। আর তা বলতে গিয়েই ফের একবার নাম না করে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যা নিয়ে নতুন করে সংঘাত তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
এদিন রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, এখানে একটা ঘোড়ার পাল পাঠিয়েছে। কিন্তু কেন এমন বললেন নেত্রী তাও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
বলেন, এই কথাটা মনে এল এই কারনেই যে আমি ২৬ তারিখ একটি ঘোড়াকে দেখেছিলাম। মাউন্টেন পুলিশকে নিয়ে আমরা গর্ব করি...আবার বলবে তৃণমূল শিখিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আজ তাঁরাও প্রতিবাদ করছে। ঘোড়ার পালরা ঘোড়াল পালদের প্রতিবাদ জানাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এদিন নাম না করে রাজ্যপালকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন নেত্রী।
বলেন, সকাল সন্ধ্যা আমাকে গালাগালি করছে আর আমাকে ট্যাগ করছে। দেড় বছর ধরে সহ্য করেছি। ঘরে বসে বসে দূরবীন দিয়ে দেখছেন, বাংলায় নাকি শান্তি নেই, নারী নির্যাতন, গণতন্ত্র নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি এবং গুজরাটে কি হচ্ছে সেটা কেন উনি দেখছেন না! তোপ মমতার। এমনকি মা ক্যান্টিন নিয়েও রাজ্যপালের তোলা প্রশ্ন নিয়ে এদিন প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, আমাকে কৈফিয়ত দিতে হবে।
গণতন্ত্র মানছেন না রাজ্যপাল। সকাল থেকে সমস্ত রাজ্যের অফিসারদের ডেকে যাচ্ছে। কোনও কাজ নেই। আর বসে বসে এই কাজ করে যাচ্ছেন। তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল ইস্যুতে সংসদে সুর চড়বে তৃণমূলের। এমনটাই জানিয়েছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এরপরেই গতকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে নালিশ জানান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। যদিও তা নিয়ে অন্য বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
শুধু প্রধানমন্ত্রীকেই নয়, রাষ্ট্রপতিকেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই বিতর্কের মধ্যেই গত কয়েকদিন আগেই রাজ্যপাল জগদ্বীপ ধনখড়কে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্লক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছেন তিনি। আর এরপরেই এই কাণ্ড বলে জানিয়েছেন।
Recommended Video
শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কেন্দ্রকেও আক্রমণ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রীকে রাজ্যপালের অপসারণ চেয়ে একাধিকবার চিঠি দেওয় হয়েছিল। কিন্তু কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আর এই বিতর্কের মধ্যেই এদিন নেতাজি ইন্ডোর থেকে চাঁচাছোলা আক্রমণ সুপ্রিমোর।