‘দিল্লিতে দোস্তি, রাজ্যে কুস্তি’, অধীর-মান্নানদের খোঁচা দিয়ে কী বললেন মমতা
দিল্লিতে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, আর রাজ্যে বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের এই দুমুখী ভূমিকা সমর্থনযোগ্য নয় বলে ব্যাখ্যা করে প্রদেশ কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন মমতা।
কংগ্রেসের দ্বিচারিতা নিয়ে এবার সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেসের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, 'ওঁরা দিল্লিতে আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে, আর রাজ্যে বিরোধিতা চালিয়ে যাচ্ছে। কংগ্রেসের এই দুমুখী ভূমিকা সমর্থনযোগ্য নয়।' প্রদেশ কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি বলেন, 'এই দ্বিচারিতা চলতে পারে না। মানুষ তা মেনে নেবেন না।'
[আরও পড়ুন:স্বপ্ন কখনও বিক্রি হয় না! মুকুলকে নিশানা করতে মোদীর সুরে সুর মেলালেন মমতা ]
এদিন বিধানসভায় বিশ্ববাংলা নিয়ে প্রথমবার মুখ খোলেন মমতা। সেখান তিনি মুকুল রায়ের নাম না করেই সমালোচনায় বিদ্ধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে নাম না করেই সমালোচনা করেন কংগ্রেসেরও। এদিন তাঁর নিশানায় ছিল, রাজ্যে কংগ্রেসের বিরোধিতার রাজনীতি। তিনি অভিযোগ করেন, 'দিল্লিতে কংগ্রেস বৃহত্তর স্বার্থে তৃণমূলকে নিয়ে চলতে চাইছে, রাজ্যে কিন্তু কংগ্রেস চলছে সম্পূর্ণ ভিন্ন পথে।'
উল্লেখ্য, কংগ্রেস এদিনও বিধানসভায় দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়। মঙ্গলবারও ডেঙ্গু নিয়ে বিরোধিতা করে কংগ্রেস। তারপর বিধানসভা মুলতবি প্রস্তাবও দেয় কংগ্রেস। শেষপর্যন্ত বিধানসভা বয়কট করে। প্রথমে বামেদের সঙ্গে যৌথ মুলতবি প্রস্তাব আনার পরিকল্পনা নিলেও কংগ্রেসের অন্য বিধায়কদের আপত্তিতে এখন থেকে কংগ্রেস একলা চলতে শুরু করেছে। কিন্তু তৃণমূল বিরোধিতায় একই অবস্থান রয়েছে তাঁরা।
[আরও পড়ুন:কোন পথে অধীর, তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই এবার প্রশ্ন তুললেন সাংসদ]
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ও বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান উভয়েই তৃণমূল বিরোধিতায় এককাট্টা। হাইকম্যান্ডের নির্দেশ উপেক্ষা করেই তাঁরা তৃণমূল বিরোধিতা করে চলেছে। সম্প্রতি দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গে মমতার সখ্যতা বেড়েছে। ২০১৯-এর দিকে তাকিয়ে উভয়পক্ষই চাইছে কাছাকাছি আসতে। কিন্তু দিল্লিতে সম্পর্ক স্বাভাবিক হলেও, রাজ্যে দুই কংগ্রেসের সম্পর্কের বরফ এতটুকু গলেনি।
পঞ্চায়েত ভোট এগিয়ে আসছে, তারপরই লোকসভার দামামা বেজে যাবে। তার আগে এখনও কংগ্রেস নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়ে গিয়েছে মমতার। কংগ্রেসের যুক্তি তৃণমূল যেভাবে রাজ্যে কংগ্রেসকে ভেঙেছে, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে, তারপর তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলানোর মতো সাহস করছে না প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব। সেই কারণেই তৃণমূলকে নিয়ে এখনও ধন্দে অধীর-মান্ননরা।