ধর্মীয় বিষ ছড়াচ্ছে বিজেপি! সংখ্যালঘু মঞ্চে সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে নয়া বার্তা মমতার
সংখ্যালঘু মানে শুধু মুসলিম নয়, শিখ-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরাও সংখ্যালঘু।’ বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, অযথা সাম্প্রদায়িক তাস খেলে বাজার গরম করবেন না।
বিজেপির সাম্প্রদায়িক তাস ছড়ানোকে একহাত নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের মঞ্চে সংখ্যালঘুর সংজ্ঞা মনে করিয়ে দিলেন। দ্ব্যর্থহীন ভাষায় তিনি বললেন, 'সংখ্যালঘু মানে শুধু মুসলিম নয়, শিখ-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরাও সংখ্যালঘু।' বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, অযথা সাম্প্রদায়িক তাস খেলে বাজার গরম করবেন না। তিনি নিজেকে হিন্দু বলে গর্ব করে বলেন, 'হিন্দু ধর্ম সব ধর্মকে ভালবাসতে শেখায়। আমাদের সরকার তাই সব ধর্মের মানুষের সঙ্গে রয়েছে। সবাই আমাদের কাছে সমান। আমাদের সরকার সবার জন্য কাজ করে।'
[আরও পড়ুন:ঘোলা জলে মাছ ধরতে কেউ কেউ মাথা ঠুকছেন! ছাত্রী-নিগ্রহের প্রতিক্রিয়ায় কাকে তোপ মমতার]
মঙ্গলবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ন দফতরের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বলেন, 'বিজেপি দেশে সাম্প্রদায়িক উসকানি ছড়াচ্ছে। ধর্মের ভিত্তিতে গোটা দেশকে ভাগ করতে চাইছে কেন্দ্রের সরকার। এই ধর্মীয় তাস ছড়ানোর বিরুদ্ধে আমাদের একসঙ্গে লড়াই করতে হবে। বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দিলে চলবে না।'
তিনি এবং তাঁর সরকার ধর্মীয় ভেদাভেদে বিশ্বাস করে না। তাই তিনি দুর্গাপুজোর উদ্বোধনও করেন, আবার ইফতার পার্টিতেও যান। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে মুসলিম তোষণের অভিযোগ তোলেন অনেকে। তাঁদের সকলকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার্তা দেন, সব ধর্মই তাঁর কাছে সমান। তিনি সকলের পাশেই আছেন। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, 'তিনি যদি সব ধর্মের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলতে চান, অন্যদের কেন এত আপত্তি।'
এ প্রসঙ্গেই তিনি ব্যাখ্যা করেন, তাঁর সরকার বিগত ছ-বছরে সংখ্যালঘু উন্নয়নে কী কী কাজ করেছেন। একেবারে পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি দেখিয়ে দেন, তাঁর সরকার সংখ্যালঘুদের উন্নয়নে কত সচেষ্ট ছিলেন। এই ক-বছরে তিনি সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে কত বরাদ্দ বৃদ্ধি করেছেন, তাঁর পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। এ প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, সংখ্যালঘু বলতে শুধুমাত্র মুসলিমদের জন্যই নয়, খ্রিস্টান থেকে শুরু করে শিখ-বৌদ্ধ-জৈনরাও সংখ্যালঘু, তাঁরাও এই উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশীদার।