কাশ্মীর নিয়ে খোঁচা দিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা ভাগে উসকানির অভিযোগ মমতার
গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে এখনও অনড় মোর্চাও। তাঁরা ইতিমধ্যে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেই কেন্দ্রকেই তোপ দাগলেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাভাগে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আ
পাহাড় ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার নিশানা করলেন বিজেপিকে। বৃহস্পতিবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভার মঞ্চ থেকে বিজেপিকে নিশানা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'কাশ্মীর সামলাতে পারছে না। এখন বাংলা ভাগে উসকানি দিচ্ছে এক বিশেষ রাজনৈতিক দল। তারা দার্জিলিংয়ে উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করেছে। কিন্তু জাতির নামে বাংলা ভাগ হতে দেব না। বাংলা ভাগ ঠেকাবোই।'
মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি-র নাম না নিলেও, তাঁর স্পষ্ট ইঙ্গিত ছিল কেন্দ্রের শাসকদলের দিকেই। বিজেপিকে একহাত নিয়ে তিনি কাশ্মীর নিয়ে খোঁচা দেন। বলেন, 'ওরা কাশ্মীরটাই ঠিকঠাক সামলাতে পারছে না। এখন আবার বাংলা ভাগে উসকানি দিয়ে চলেছে।' এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি, 'যতই দার্জিলিংয়ে উঁকিঝুঁকি দাও, আমি বলে রাখছি- বাংলা ভাগ করতে দেব না, বাংলা ভাগ হবে না। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত বাংলা ভাগ রুখতে লড়াই চালিয়ে যাব এবং রুখবও।'
এখনও পাহাড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ কমেনি। পাহাড় জ্বলছে। মোর্চা তাঁদের অনির্দিষ্টকালীন বনধের কর্মসূচি জারি রেখেছে। তারই পাশাপাশি যুবমোর্চা আবার অনশন ও আত্মহুতির হুমকি দিয়েছে। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে অনড় মোর্চাও। তাঁরা কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ দাবি করেছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী সেই কেন্দ্রকেই তোপ দাগলেন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বাংলাভাগে উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনলেন।
উল্লেখ্য, বিমল গুরুংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থনেই দার্জিলিংয়ের সাংসদ এখন বিজেপি-র সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া। এর আগেও মোর্চার সমর্থন নিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিং। পরোক্ষে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে সায় ছিল বিজেপির। এখন সরাসরি বিজেপি পাহাড় ইস্যুতে মোর্চাকে সমর্থন করতে পারছে না। কিন্তু পাহাড়ে অশান্তির পিছনে যে বিজেপির উসকানি রয়েছে, সেই অভিযোগ আনলেন স্বয়ং মমতাই।
পাহাড় নিয়ে রাজ্যের ডাকা সর্বদল বৈঠকে যোগ দেয়নি বিজেপি। কিন্তু বিজেপি যোগ দিয়েছিল মোর্চার সর্বদল বৈঠকে। একাধিকবার মোর্চার সমর্থনে কথাও বলতে দেখা গিয়েছে বিজেপির নেতা-নেত্রীদের। বিজেপি সাংসদ আলুওয়ালিয়া এর মধ্যে পাহাড়ে হিংসায় তিন মোর্চা কর্মীর মৃত্যুতে ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। সেদিক দিয়ে বিচারে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত- একেবারে অমূলক নয় মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ।