নন্দীগ্রামে ওরা খুব অত্যাচার করেছিল...! কুলপির সভা থেকে মন্তব্য মমতার
আজ চারটি জনসভা ও একটি রোড শো করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি, কুলপি, ক্যানিং পশ্চিম ও হুগলির তারকেশ্বরে নির্বাচনী সভা রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর। আর প্রত্যেক সভা থেকেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যপাধ্য
ভোট মিটে গেলেও এখনও কেন্দ্রবিন্দুতে নন্দীগ্রাম। শুভেন্দু আত্মবিশ্বাস একদিকে ভাবাচ্ছে শাসকদলকে অন্যদিকে সত্যিই কি নন্দীগ্রামে হারছেন মমতা? এটাই এখন বড় প্রশ্ন রাজনৈতিকমহলের। নন্দীগ্রামকে ঘিরে শাসক বিরোধী শিবিরে এখনও পা উত্তাপ।
যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ে দাবি, তিনিই জিতছেন। সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে তাঁর বার্তা, এই নিয়ে বেশি ভাববেন না। আমিই জিতছি। যদিও পালটা বিজেপির দাবি, আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই কারণে এই সব বলে চলেছেন তিনি। তবে ফের একবার ভোট প্রচারে গিয়ে মমতা মুখে নন্দীগ্রাম!
ওরা সেদিন খুব অত্যাচার করেছিল
নাম না করে বিজেপিকে তুলোধনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কুলটির সভা থেকে এদিন মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে সেদিন ওরা খুব অত্যাচার করেছিল। কিন্তু মানুষ রুখে দাঁড়িয়েছে বএ দাবি তাঁর। একই সঙ্গে মমতার দাবি, আমাদের পক্ষে ভোট খুব ভালো হয়েছে। মানুষ আমাদের পাশেই রয়েছেন। ওদের মিথ্যা ভাষণে পা দেবেন না। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামে ভোটের দিন তৃণমূল কর্মী থেকে এজেন্টদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি, বহু জায়গাতেই তৃণমূল নেতাদের বাড়ি থেকেই বের হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। আজ সেই বিষয়টিই উঠে আসল মমতার বক্তব্যে।
যদি সরকার তৈরি করতে পারি...
আগেকার কয়েক দিনের মতোই এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে উঠে এলেছে যদির কথা। তিনি বলেছেন, যদি সরকার তৈরি করতে পারি তাহলে বাড়ির মহিলা প্রধানদের ৫০০ টাকা থেকে হাজার টাকা করে হাত খরচ দেওয়া হবে। ঘরে ঘরে রেশন পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি যাঁরা এখনও স্বাস্থ্যসাথী কার্ড হাতে পাননি, তাও দরজায় পৌঁছে দেওয়া হবে। মে মাস থেকে ১০ লক্ষ টাকার স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে।
বহিরাগত তত্ত্ব
ফের একবার মমতা বন্দ্যপাধ্যায়ের মুখে বহিরাগত তত্ত্ব। তিনি বলেন, 'বাইরে থেকে গুন্ডা নিয়ে এসেছে বিজেপি। নন্দীগ্রামেও গ্রামে গ্রামে গিয়ে ভোটারদের বহিরাগতরা হুমকি দিয়েছিল। পুলিশের উর্দি পরিয়ে ভোটারদের ভয় দেখানো হচ্ছে।' এই বিষয়ে কমিশনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁর। অন্যদিকে মমতা বলেন, বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট কেনার চেষ্টা করবে। সমস্ত হোটেল, গেস্ট হাউস-সব বুক করে নিয়েছে। বহিরাগত আনছে। এই বিষয়ে মানুষকে সতর্ক থাকার বার্তা নেত্রীর।
জোর করে দখল করতে চাইছে
এদিন একের পর এক সভা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই সভার শুরু থেকেই মমতার টার্গেটে বিজেপি। এদিন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেন যে, বিজেপি চাইছে বাংলাকে জোর করে ভাগ করে নাও, দখল করে নাও। বিভাজন ঘটাতে চাইছে বলেও দাবি তাঁর। যদি বাঘ আসে তখন আপনি কী দেখবেন হিন্দুর না মুসলমান বাঘ, দেখবেন হিন্দুর না মুসলমানের ঘরে ঢুকছে, আপনারা হাতে হাত রেখে লড়াই করে রুখে দাঁড়াবেন। বিভাজন রুখতে সাধারণের উদ্দেশ্যে বার্তা তৃণমূল নেত্রীর।
সংখ্যালঘু ভোট ভাগাভাগি নিয়েও বার্তা
মমতা বলেন, সংখ্যালঘুদের ভোট ভাগাভাগি করতে চাইছে ওরা। আর তাতে লাভ পাবে বিজেপি। নাম না করে মিম প্রধান আসাউদ্দিনকে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা। বলেন, হায়দরাবাদ থেকে একজনকে বিজেপি নিয়ে এসেছে একজনকে ভোট কাটতে। অন্যদিকেম নাম না করে আইএসএফের আব্বাস সিদ্দিকিকেও একহাত নিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, এই সব করে কি লাভ হবে। বড়বড় বাড়ি, পয়সা নিয়ে চলে যাবে। এর থেকে বেশি কি হবে। সাধারণ মানুষের এতে কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি মমতার।